খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ৪ দিনের বাজার মনিটরিংয়ের পরও কমেনি চালের দাম। হঠাৎ করে কেন ৫ থেকে ৬ টাকা চালের দাম বেড়েছে মিলছে না তার উত্তর। খুচরা-পাইকারি ও মিল মালিকরা একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
১০ বছরের ব্যবসায়ী জীবনে কারওয়ান বাজারের অনেক পণ্যের দাম বাড়তে দেখেছেন ফজলুর রহমান। টানা অভিযানের পর সাময়িক স্বস্তি ফিরলেও দাম আসে না আগের জায়গায়।
তিনি বলেন, ‘বাজারে তো চালের দাম কমে না। আমরা গরিব মানুষ, কিনে খেতে কষ্ট হয়।’
হুট করে চালের দাম কেজি প্রতি মানভেদে ৫ থেকে ৬ টাকা খুচরা পর্যায়ে বাড়ে। নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে খাদ্য মন্ত্রণালয়। দাম বেশি দেখে সতর্কও করে অনেক ব্যবসায়ীকে, এই তদারকির কতটুকু প্রভাব বাজারে?
ক্রেতারা বলেন, ‘বাজারে তো চালের দাম কমেনি। আর একবার দাম বাড়লে কমতেও দেখি না। বাজার বাজারের গতিতেই চলে।’
তবে এক ক্রেতা বলেন, 'বাজার নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক মনিটরিং প্রয়োজন। তাহলে ধীরে ধীরে দাম কমে আসবে।'
খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ‘মনিটরিং গোড়ায় করতে হবে। আমরা যেখান থেকে কিনছি সেখানে মনিটরিং করতে হবে। আর দাম কেন বাড়লো সেটা তো তারাই বলতে পারবে। এছাড়া আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামে বিক্রি করতে পারবো।”
মিলগেটে বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমলেও প্রভাব নেই খুচরা বাজারে। ছোট মিল মালিকরা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা টিকে থাকতে পারছি না। আর চালের ব্যবসায় আগের মতো লাভও নেই।
মাঠ পর্যায়ে অভিযান চালিয়ে দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মত বাজার বিশ্লেষকদের। ব্যবসায়ী নেতারাও দাম বৃদ্ধিতে দায়ী বলেও মনে করেন তারা।
কৃষি বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ‘দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কিন্তু বাজারে দাম কমছে না। আর যাদের বিরুদ্ধে মনিটরিং করা হচ্ছে তারা তো ছোট ব্যবসায়ী, বড় ব্যবসায়ীদের কাছে যাওয়া হচ্ছে না। তাই এভাবে অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মনে হয়।’
রোজার আগে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে, এমন শঙ্কা বাজার সংশ্লিষ্টদের।