বাংলাদেশের পণ্যের বাজার মূলত আমদানি নির্ভর। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সব মিলিয়ে বাজার ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। তবে যুদ্ধবিরতির পর এই দাম আবারো নিম্নমূখী। আন্তর্জাতিক বাজারের জ্বালানি তেলের দরদামের প্রভাব পড়ে দেশের পণ্যের বাজারে।
শিকাগো বোর্ড অব ট্রেড অনুযায়ী, ৬ ডিসেম্বরের আন্তর্জাতিক বাজার দরে প্রতি টন সয়াবিন তেল ১ হাজার ২৩৪ ডলার, চিনি ৬৯৯ ডলার, গম ৬২০ ডলার, পেঁয়াজ ২০০-৩০০ ডলার ও আলু ২২০ ডলার।
কেন এখনও দেশের বাজারের দাম কমানো যাচ্ছে না? এই প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বললেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়তির কথা। একইসঙ্গে আগামী মাসের মধ্যে আলুর দাম কমার আশ্বাসও দেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিসিবি কার্যক্রমের উদ্বোধনে মন্ত্রী বলেন, 'দাম কমতে আরও একমাস সময় লাগবে। এসময় যে আলুটা আসছে সেটা উত্তরবঙ্গ, নীলফামারী অঞ্চলের। সেটা যথেষ্ট নয়।'
রমজান মাসকে সামনে রেখে খেজুরের ওপর থেকে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার হতে পারে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, আমরা শুল্ক কমাতে পারি না। শুল্ক কমানোর জন্য এনবিআরের কাছে অনুরোধ করতে পারি। সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। রমজান মাস সামনে রেখে যেন শুল্কটা তারা একটু কনসিডার করে। আমরা দেখছি ব্যাপারটা যাতে করে রমজানে সাশ্রয়ী মূল্যে খেজুর সবাই পায়।'





