টিপস
জীবনযাপন
0

এসি, এয়ারকুলার শরীরে বিপদ ডেকে আনছে না তো!

চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রচণ্ড গরমের আভাস দিয়ে আসছিল বিশেষজ্ঞরা। এরই মাঝে শুরু হয়ে গেছে সূর্যের চোখ রাঙ্গানি। এরই মাঝে দেশে তাপমাত্রার রেকর্ড ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। তীব্র গরমে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন। এই অবস্থায় একটু প্রশান্তির খোঁজে এসি কিংবা এয়ারকুলারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। গরমের হাত থেকে বাঁচতে আমরা ক্রমশ যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। কিন্তু এই যে সাময়িক গরমের হাত থেকে বাঁচতে আমরা কৃত্রিম ঠাণ্ডার সাহায্য নিচ্ছি, তাতে আমাদের শরীরে কী প্রভাব পড়ছে তা কী জানি?

এসি

কর্মক্ষেত্র ছাড়াও এখন বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে ফ্যানের বদলে এসি ব্যবহার করছেন। দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।

 

১. বেশি সময় এসিতে থাকলে ত্বক তার আর্দ্রতা হারিয়ে শুকিয়ে যায়। ফলে ত্বকের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।

 

২. গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকেন, তারা অলসতা এবং মাথা ব্যথায় বেশি ভোগেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর আপনার ঠাণ্ডার সমস্যা, ফ্লুর প্রকোপ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনার যদি এরই মাঝে সর্দি-কাশি লেগে থাকে, তবে এসির কারণে তা আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে। এসি শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণকে বাড়িয়ে দিতে পারে। দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে অ্যালার্জির সমস্যাও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

 

৩. এসির তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে আমাদের ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায় এবং ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে আমাদের চুলেও। ফুলে খুশকি, স্ক্যাল্পে চুলকানিসহ চুলেরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ হচ্ছে এসির কারণে ঘরের ভেতর একরকম তাপমাত্রা, বাইরে আরেকরকম। তাই এর প্রভাব পড়ে আমাদের ত্বক ও চুলে।

 

৪. অধিকাংশ সময় এসিতে থাকার কারণে চোখের সমস্যা হতে পারে। আর যারা চোখে লেন্স ব্যবহার করেন, তারাও সমস্যায় ভুগতে পারেন।

 

৫. এসব ছাড়াও এসি বেশ কিছু রোগের প্রকোপকে বাড়িয়ে দেয়। যেমন- ব্লাডপ্রেসার, আর্থাইটিসসহ বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুর সমস্যা ইত্যাদি।

 

এয়ারকুলার

গরমের এমন তাপদাহে এসির পরিবর্তে অনেকেই ঘরে এয়ারকুলার ব্যবহার করছে। এয়ার কুলার এমন একটি যন্ত্র, যেটি পানিকে বাষ্পে পরিণত করে, ঠান্ডা বাতাস সরবরাহ করে। এবং এই কারণে ঘরের গরম তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়ে ঠান্ডা বা শীতল হয়। প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘরকে ঠাণ্ডা এবং আরামদায়ক রাখতে এয়ার কুলার ব্যবহার করা হয়।

 

১. হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য এয়ারকুলার উপযুক্ত নয়।

 

২. এয়ারকুলার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এয়ারকুলার ঘরকে শুষ্ক করে তোলে।

 

৩. কুলার ব্যবহার করার সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল এর পানি। এটি থেকে ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় ঠিকই। কিন্তু কুলারের পানি নিয়মিত না বদলালে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী মশা জন্মাতে পারে।