টিপস , ফিচার স্টোরি
জীবনযাপন
0

কীভাবে করবেন বাড়তি আয়?

নিজের মেধা, দক্ষতা কিংবা নিজের যা কিছু আছে তাই দিয়েই করতে পারেন বাড়তি আয়

উর্ধ্বগতির বাজারে শুধুমাত্র চাকরি করে জীবনযাপন করতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। চাকরিতে মাস শেষে একটা নির্দিষ্ট অংকের অর্থ পান ঠিকই, কিন্তু সেখান থেকে অনেকেরই মাসিক ব্যয় এবং কাটছাঁট করার পর সঞ্চয়ের পরিমান থাকে না বললেই চলে। তাই সাধ এবং সাধ্যের বিষয়টা পড়ে থাকে তলানিতে।

তবে যদি সাধের সাথে সাধ্যের বিষয়টা যোগ করতে চান তাহলে বাড়তি উপার্জন করতেই হবে। নিজের মেধা ও সময় খরচ করে চাকরির পাশাপাশি আরও কিছু উপার্জন করতে পারেন। সততা বজায় রেখে নিজের মেধা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী ফুল টাইম চাকরির পাশাপাশি বাড়তি আয় করার কিছু উপায় জেনে নেয়া যাক। 

ফ্রিল্যান্সিং

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন, স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তবে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে আপনার আয়ের অন্যতম উৎস। যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কোনো সমস্যা না হয় এবং আপনাকে কোনো আইনি সমস্যায় না ফেলে, তবে অবসর সময়ে হয়ে যেতে পারেন ফ্রিল্যান্সার। লেখালেখি কিংবা গ্রাফিক ডিজাইনারের পাশাপাশি কাজ করতে পারেন, প্রোগ্রামিং বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়েও।

সম্পত্তি ভাড়া

নিজের কিছু সম্পদ যেমন জমি, আবাসন হতে পারে আপনার আয়ের বিকল্প পথ। জমি ভাড়া দিতে পারেন, আবার খালি পড়ে থাকা রুমটি দিয়েও আপনি খুব সহজেই উপার্জনের পথ তৈরি করে নিতে পারবেন। ঠিক একইভাবে আপনার যদি কোন গাড়ি থাকে সেটিও ভাড়া দিয়ে বাড়তি আয় করতে পারেন।

অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চ

অবসর সময়ে অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। অনলাইন সার্ভে ও মার্কেট রিসার্চ স্টাডিতে অংশগ্রহণ আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনে সহায়তা করতে পারে। তাই এই কাজে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারেন।

অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি

প্রায় সবার বাড়িতেই কিছু বাড়তি জিনিসপত্র থাকে। যা বছরের পর বছর পড়ে থাকে। কিন্তু কোনো কাজে লাগে না। হতে পারে, সেই জিনিসটিই অন্য কারও অনেক প্রয়োজন কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে কিনতে পারছে না। এমন অবস্থায় আপনার সেই পড়ে থাকা জিনিসটা যদি অনলাইনে বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এতে আপনার বাড়ি থেকে জঞ্জাল কমবে, আবার বাড়তি আয়েরও সুযোগ হবে।

ছাদ বা বারান্দা কাজে লাগান

রোজগার সবসময় অর্থের পরিমাপে নাও হতে পারে। আপনি যদি ছাদে বা বারান্দায় সবজি চাষ করেন এবং তা কেবল নিজের পরিবারের কাজে লাগছে। এটিও কিন্তু একধরনের রোজগার। যে দামে আপনি ওই সবজি ক্রয় করতেন, সবজি চাষ করতে তার চেয়ে কম খরচ হবে। আবার টাটকা এবং ভেজালমুক্ত সবজিও পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে এই চাষের খরচটা আপনার বিনিয়োগ। আর ফলন যা হলো, তাই আপনার রোজগার।

টিউশন

কর্মজীবনে এসেও কিন্তু আপনার কর্মঘণ্টার আগে বা পরে কিংবা ছুটির দিনে আপনি কাউকে পড়াতে পারেন। যত্ন নিয়ে পড়ালে আপনি বেশ কিছুটা বাড়তি আয় করতে পারবেন। পড়ালেখার বাইরেও কিছু শেখাতে পারেন। যাতে আপনি দক্ষ, যেমন ছবি আঁকা, হাতের লেখা বা আবৃত্তি। এছাড়া আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হন তবে অনলাইনে বা সরাসরি টিউটরিং শুরু করতে পারেন। কারুশিল্প শেখাতে পারেন, কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারেন। আপনি যেক্ষেত্রে দক্ষ সে বিষয়ে কোর্স করাতে পারেন। এভাবে আপনি আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে এবং আয়ের পথ তৈরি করতে পারবেন। 

অনলাইন ব্যবসা

সময় বাঁচাতে এখন অনলাইন শপিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ নকশা করতে পারেন ক্ষুদ্র বস্তুতে, কেউ তৈরি করতে পারেন গয়না, কিংবা পোশাক, অনেকে আবার রান্নায় দক্ষ। এমন কোনো কাজে যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন, ছোট পরিসরে হলেও হয়ে যেতে পারেন উদ্যোক্তা। যদিও অনলাইনে রোজগার করতে গেলে এখন প্রবল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। মূল পেশার পাশাপাশি এমন কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে দেখতে পারেন, কেমন সাড়া পাচ্ছেন।

রাইড শেয়ারিং

নিজস্ব যানবাহন থাকলে অবসর সময়ে, এমনকি অফিসের আগে বা পরেও খানিকটা বাড়তি সময় ব্যয় করে আপনি অন্য কাউকে পৌঁছে দিতে পারেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে। এটি আপনার বাড়তি আয়ের একটি ভালো উৎস হতে পারে। আর এই টাকা দিয়ে আপনার সংসারের টুকটাক দরকারি খরচগুলো খুব সহজেই সামলে নিতে পারেন।