রমজানের প্রস্তুতি বিষয়ক কিছু পরামর্শ:
১. রমজানের সময় জানুন: মুসলিমদের জন্য রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ একটি মাস। এ মাসে কম বেশি সব মুসলিম রোজা রাখার জন্য তারা আগ্রহী থাকে। তাই রমজানের শুরু কবে থেকে তা জানুন এবং প্রস্তুতি নিন।
২. রমজানে কোথায় থাকবেন তা ঠিক করুন: রমজান মাসে কোথায় থাকবেন তা আগে থেকেই নির্ধারণ করুন। রোজায় কর্মস্থল, গ্রামে নাকি সফর থাকবেন সেটি ঠিক করে নিন। এর ওপর ভিত্তি করে রমজান মাসের জন্য যথাযথ পরিকল্পনা তৈরি করুন।
৩. নিজ পরিবারকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন: রমজান আসার আগে নিজের পরিবার ও নিকট আত্মীয়দেরও মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। এতে পুরো মাসটি সুন্দরভাবে রোজা পালন করতে সাহায্য করবে। পারিবারিক বৈঠকের মাধ্যমে রোজার মাসের কাজের দায়িত্ব সবার মধ্যে ভাগ করে দিন।
৪. আত্মীয়-স্বজনদের রোজার সচেতনতা তৈরি করুন: রমজান আসছে, এই খবরটি আপনার আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও বন্ধুদের স্মরণ করিয়ে দিন। তাদের সিয়াম পালনের গুরুত্ব এবং রমজানের প্রস্তুতি সম্পর্কে সচেতন করুন। এতে সমাজে সবার মধ্যে ধার্মিকতা ও একতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
৫. কর্মসূচি পরিবর্তন করুন: রমজান মাসে দৈনন্দিন জীবনধারা কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়। তাই প্রয়োজন অনুসারে অফিস, কাজ ও বিশ্রামের সময়সূচি পরিবর্তন করুন, যেন আপনি সঠিকভাবে ও সুস্থতার সঙ্গে রোজা রাখতে পারেন। এছাড়া, আপনার খাবার ও বিশ্রামের সময়ে পরিবর্তন আনুন। এছাড়া কর্মক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হলে সেটি আগেই ঠিক করে রাখুন।
৬. আর্থিক প্রস্তুতি নিন: রমজান মাসে খরচ কিছুটা বাড়তে পারে, তাই আগে থেকেই অর্থনৈতিক প্রস্তুতি নিন। যেমন, ইফতার ও সেহরি তৈরির জন্য খাবারের খরচ, দান-সদকা, ফিতরা, যাকাত, এবং ঈদের জন্য কিছু টাকা আলাদা রাখুন। প্রায়ই রমজানে বাজারে দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যায়, তাই সেগুলোর জন্যও প্রস্তুতি নিন।
৭. বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে উদ্যোগ নিন: রমজান মাসে বাজারে দ্রব্যের মূল্য যেন বেড়ে না যায় এবং খাদ্যে ভেজাল বা মাপে হেরফের যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আপনি যদি ব্যবসায়ী হন, তাহলে সঠিক মূল্য রাখুন এবং বাজারে স্বচ্ছতা বজায় রাখুন। এর মাধ্যমে রমজান মাসের সৌন্দর্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।
৮. মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধা বাড়ানোর ব্যবস্থা করুন: মসজিদে নামাজের জন্য মুসল্লিদের আসা-যাওয়া বাড়ে। তাই রমজানে মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধা বাড়ানোর ব্যবস্থা নিন। যেমন ওযুখানা, টয়লেট, ফ্যান, বিদ্যুতের ব্যবস্থা। এছাড়া মসজিদে ইতিকাফের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখুন যাতে মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণভাবে ইবাদত করতে পারে।
১০. তারাবির নামাজের সুব্যবস্থা করুন: তারাবির নামাজে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম হয়, তাই তারাবির নামাজে সঠিকভাবে কুরআন তিলাওয়াতের ব্যবস্থা করুন।