বালিশের উপকরণের ভিন্নতার কারণে তার দামও হয় ভিন্ন অংকের। সর্বোচ্চ কতই বা হতে পারে একটি বালিশের দাম? ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন যে কেউই দেখতে পারেন। তবে ছেড়া বালিশে শুয়ে লাখ টাকার বালিশের কথা মাথায় এসেছে কখনো?
পৃথিবীতে এমন এক ধরনের বিশেষ বালিশ আছে যার এক একটি বালিশের দামে আপনি কিনতে পারেন হাজার হাজার বালিশ। আবার অনেকে সর্বস্ব বিক্রি করেও কিনতে পারবে না এই বালিশ।
সাধারণ একটি বালিশ তৈরি করা কয়েক ঘণ্টার ব্যাপার হতে পারে। কিন্তু বিশেষ এই বালিশ তৈরিতে সময় লেগেছে ১৫ বছর! বালিশে মাথা দিয়ে মানুষ যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারেন তাই ১৫ বছর গবেষণা করে বিশেষ এই বালিশ বানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ফিজিওথেরাপিস্ট থিজস ভ্যান ডের হিলস্ট। বালিশটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেইলরমেড পিলো।
এই বালিশে মাথা দিয়ে ঘুমালে মুক্তি মিলবে অনেক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থেকে। বিশেষত যারা ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রা রোগে ভোগেন তাদের জন্য ভীষণ কার্যকর এই বালিশ। আবার যাদের ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা আছে তাদের জন্যও এটি বেশ উপকারী।
এই বালিশে রয়েছে উন্নত মানের মিশরীয় তুলা। একটি রোবোটিক মিলিং মেশিনের সাহায্যে বালিশটিতে তুলা ভরা হয়েছে। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে মালবেরী সিল্কের কাপড় এবং নন-টক্সিক ডাচ মেমরি ফোম। ফোমের পাশাপাশি মণিমুক্তা দিয়ে সাজানো রাজকীয় এই বালিশ। ২৪ ক্যারেট সোনায় মোড়া বালিশের চকচকে ফ্রেবিকটি সব ধরনের তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ রোধ করবে। এছাড়াও আছে একটি জিপার যেখানে ২২.৫ ক্যারেটের নীলকান্তমণি ও চারটি মূল্যবান হীরা বসানো আছে।
এই বালিশের দাম শুনলে অনেকের ঘুম হারাম হয়ে যেতে পারে। বিশেষ এই বালিশের দাম ৫৭ হাজার ডলার। টাকার অংকে বর্তমানে যা প্রায় ৬০ লাখেরও বেশি। তবে এই বালিশ কিন্তু সবসময়ই তৈরি হয় না। কোন গ্রাহকের বিশেষ অর্ডারের প্রেক্ষিতেই এই বালিশ তৈরি করা হয়। কারণ বালিশটি তৈরির আগে গ্রাহকের ঊর্ধ্বাঙ্গের মাপ এবং ঘুমানোর স্টাইলগুলোও জেনে নেওয়া হয়।