মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ অক্টোবর চেক ডিজঅনার মামলায় রফিকুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লিখিত ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত। বুধবার তিনি ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনের পর প্রতিক্রিয়ায় রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাম্মাদ আলীর সঙ্গে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তিতে আমি চারটি চেক ও নগদ অর্থ প্রদান করেছিলাম। চুক্তি অনুযায়ী জমির বাউন্ডারি ওয়াল সম্পন্ন হওয়ার পর রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করি। কিন্তু চেক ফেরত চাইলে আওয়ামী লীগের দোসর হাম্মাদ নানা টালবাহানা শুরু করে। গত ১৬ বছরে সে আওয়ামী সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল ও বালুমহল দখলসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিল। এখন সে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে এবং অনেক নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আদালতের নির্দেশে ২০ লাখ টাকা জমা দিয়ে জামিন নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আপিলের মাধ্যমে সত্য প্রকাশ পাবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদ বলেন, ‘আমার মক্কেল একজন সৎ, পরিশ্রমী ও সম্মানিত ব্যবসায়ী। তার সঙ্গে প্রতারণা করে সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে জামিন মঞ্জুর করেছেন। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করব এবং আশা করি ন্যায়বিচার পাব।’
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালত চেক ডিজঅনার মামলায় রফিকুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন।





