রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আশরাফ মাসুম জানান, ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষের পর ফারুকের মরদেহ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয়।
এ ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করেন। মামলায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ শিবিরের ৩৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীসহ মোট ১১৪ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন:
২০১২ সালের ৩০ জুলাই ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৯ সালে চার্জ গঠন করা হয়।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, সাক্ষ্য, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ (রোববার) রাজশাহীর অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন।
পিপি আলী আশরাফ মাসুম জানান, এ মামলার বিচার চলাকালে ৯ জন মারা যান। আদালত ১০৫ জনের বিচার করেছে। এনিয়ে তিনি বলেন, সেদিনের ঘটনায় যেসব ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সরাসরি ভিকটিম ছিলেন তারা সাক্ষ্য দেয়ার সময় কোন আসামীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি। ফলে অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন।
একই ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরও একটি মামলা চলমান ছিল। সম্প্রতি সেই মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।





