সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট করেন আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন এবং রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও পলাশ চন্দ্র রায়।
এনবিআরের প্রস্তাবে টিআরপি নিয়োগ পাস হয় চলতি অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে। এ প্রস্তাব অনুযায়ী রিটার্ন প্রস্তুতে তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করা হবে, যারা রিটার্ন তৈরি করবেন। এতে করে প্রাথমিক রিটার্ন দিতে আইনজীবীর সহায়তার প্রয়োজন হবে না। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধিতা করছিলেন আইনজীবীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন।
আইনজীবীরা জানান, বাংলাদেশের বর্তমান আয়কর আইন-২০২৩ এ আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী বা ট্যাক্স রিটার্ন প্রিপেয়ারার (টিআরপি) নামে কোন কিছু না থাকা সত্ত্বেও রাজস্ববোর্ড এস. আর. ও নং ২০৭- আইন/ আয়কর-০২/ ২০২৩ এ ২৬ জুন আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী বিধিমালা জারি করে।
কর আইনজীবীদের পাশ কাটিয়ে আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী নিয়োগ করা হলে, আয়কর অঙ্গনে হাজার হাজার দালাল সৃষ্টি হবে, রাজস্ব ফাঁকিসহ কর আদায়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন কর আইনজীবীরা।
গত ১৭ ডিসেম্বর আয়কর রিটার্ন প্রস্তুতকারী (টিআরপি) নিয়োগ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর বিরোধিতা করে আন্দোলন করে আইনজীবীরা। কর অভিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা ফি ও সার্ভিস চার্জসহ মোট ১ হাজার ১১২ টাকা জমা সাপেক্ষে অনলাইনে আবেদনের মেয়াদ ছিল আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।