১৯৮৮ সালের পর প্রথমবারের মতো হারিকেনের সরাসরি আঘাতের শিকার ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী আর আটলান্টিক থেকে সৃষ্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রলয়ংকরী হারিকেন মেলিসার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড ক্যারিবীয় দ্বীপাঞ্চল।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ঘণ্টায় ২৯৫ কিলোমিটার বেগে জ্যামাইকায় আঘাত হানে ক্যাটাগরি ৫ মাত্রার হারিকেন মেলিসা। রাজধানী কিংসটন রেহাই পেলেও হারিকেনের প্রভাবে মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জ্যামাইকার পশ্চিমাঞ্চল। এরপর বুধবার রাতে শক্তি হারিয়ে ক্যাটাগরি ৩ এ পরিণত হয় মেলিসা। কিউবার পর অতিক্রম করে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ।
সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও প্রাণহানির বিচারে জ্যামাইকাকে ছাড়িয়ে গেছে হাইতি। রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বারমুডা অতিক্রম করে উত্তর আটলান্টিক ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের ৫২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে সরে যাচ্ছে মেলিসা।
আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকট মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয়রা। সরবরাহ ঘাটতি থাকায় জ্যামাইকার সুপারমার্কেটে ক্রেতাদের লম্বা লাইন। ভেঙে পড়েছে জ্যামাইকার প্রধান হাসপাতাল সেন্ট এলিজাবেথের কার্যক্রম।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ক্যারিবীয় অঞ্চলের প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। উদ্ধার অভিযানে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বাসিন্দারা। দুর্যোগ মোকাবিলায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার হাইতি, জ্যামাইকা, বাহামা ও কিউবায় পৌঁছেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মীদের দল। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দাবি, মেলিসার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৪৮-৫২ বিলিয়ন ডলার।
এমন পরিস্থিতিতে সংস্কার কাজ, মানবিক সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে জাতিসংঘ। প্রাথমিক মূল্যায়ন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপরাষ্ট্রে লোকবল পাঠানোর পরিকল্পনা আছে তাদের।





