গাজার যুদ্ধ যেন শেষ হবার নয়। বার বার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও হামলা বন্ধ করছে না ইসরাইল। গেল মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইলিরা। এরপরই শান্তি প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেয় ইসরাইল। তবে দুইদিন না যেতেই আবারও হামলা শুরু করেছে তারা। খান ইউনিস শহরে রাতভর গোলাবর্ষণের পাশাপাশি বিমান হামলা তীব্রতর করেছে ইসরাইলি সেনারা।
এমন অবস্থায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি মেনে আরও দুই জিম্মির মরদেহ ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস। এরইমধ্যে তাদের পরিচয়ও শনাক্ত করেছে ইসরাইল। তাদের নাম আমিরাম কুপার এবং সাহার বারুচ। এ নিয়ে মোট ১৫টি মরদেহ ফেরত দিলো তারা। চুক্তি অনুযায়ী ২৮ জন ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়ার কথা রয়েছে।
যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে যুদ্ধের সময় আটক জীবিত সব জিম্মিদের মুক্তি দেয় হামাস। এছাড়া, গাজার কিছু অংশ সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ইসরাইল। উপত্যকায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য অব্যাহত রাখা হয় ত্রাণ সহায়তা।
আরও পড়ুন:
তবে ইসরাইলের অভিযোগ, বাকি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিতে গড়িমসি করছে হামাস। তবে হামাস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মরদেহ খুঁজে পেতে সময় লাগছে। বাকি মরদেহ ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তাদের স্বজনেরা।
ইসরাইলি আগ্রাসন কমার পর গাজার জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দোকানপাট ও বাজারে বেড়েছে মানুষের আনাগোনা। তবে নগদ অর্থের অভাবে ধুঁকছে গাজার ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অর্থের জন্য ব্যাংকের সামনে দীর্ঘ সারি বাসিন্দাদের।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও বিন্দু পরিমাণ আতঙ্ক কাটেনি গাজাবাসীর। যেকোনো সময় ইসরাইল আবারও হামলা জোরদার করতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। এখনো মৃত্যুভয় তাড়া করছে তাদের।
এদিকে, তুরস্ক সফরে গিয়ে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যায় জার্মানির ভূমিকা নিয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের তোপের মুখে পড়েন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিক মায়ার্জ। আঙ্কারায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান অভিযোগ করেন, গাজার দুর্ভিক্ষ ও দুর্দশা উপেক্ষা করে গেছে জার্মানি।
বাধ্যতামূলকভাবে সেনা বাহিনীতে নিয়োগের বিরুদ্ধে জেরুজালেমের প্রবেশপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন হেরেদি সম্প্রদায়ের প্রায় ২ লাখ মানুষ। মিলিয়ন ম্যান প্রটেস্ট নামে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান একজন। অগ্নিসংযোগ, ব্যারিকেড ভাঙচুর ও সংঘর্ষের মুখে হুট করেই বন্ধ করে দেয়া হয় অনুষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় ২ হাজারের বেশি পুলিশ।





