কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
বিদেশে এখন
0

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে লোকসানে পশ্চিমবঙ্গের চাষিরা

হুগলির ৯১ হাজার হেক্টর জমিতে ৫০ শতাংশের বেশি জমিতে রোপণ করা হয়েছিলো আলু। তবে অগ্রহায়ণের শেষভাগে এসে বৈরি আবহাওয়ায় মাথায় হাত চাষিদের।

দিগন্তজোড়া মাঠে রবি শস্য ও শীতকালীন সবজির বীজ রোপণ ও ফসলের পরিচর্যায় যখন চাষীদের ঘাম ঝরানোর সময়, তখনই হানা ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের। অসময়ের বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে আবাদ করা বিভিন্ন ফসল। ঋণ নিয়ে আলু চাষ করায় লোকসানের মুখে কৃষক। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করতে পারেনি কৃষি বিভাগ।

চাষিরা জানান, 'অবস্থা এত খারাপ যে স্ত্রী-সন্তানদের খাওয়াতে পারবো না। বীজ, সারের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা হয়তো পুণরায় চাষ করতে পারবো।'

মাঠে থাকা পাকা আমন ধান ভিজে যাওযায় কৃষকের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। এসব ধান গোলায় তুলতে যেমন খরচ বেড়েছে, তেমনি বাড়ছে পচনের ঝুঁকিও।

একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মেদিনীপুর, নদিয়া, বাকুড়াসহ বেশ কয়েকটি জেলার ফুল চাষীরাও। লোকসানের ভয়ে কম দামে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা জাতের ফুল।

এদিকে আলুসহ অনেক ফসলের বীজ রোপণের সময় এখনও আছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের কৃষি বিভাগ। এতে করে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তবে সেখানেও বিপত্তি, সুযোগ লুফে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ উঠেছে বাড়তি দামে বীজ বিক্রির।

এ অবস্থায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাজারে শাক-সবজি ও রবি শস্যের সংকট মোকাবিলায় বীজের দোকানে চালানো হচ্ছে অভিযান।

হুগলির ডেপুটি পুলিশ সুপার (গ্রামীন পুলিশ) নিমাই চৌধুরী বলেন, 'দোকানের বাইরে কোন মূল্যতালিকা না থাকায় আমরা ম্যানেজারকে দোকান বন্ধ করে দিতে বলেছি।'

তবুও ফসলের উৎপাদন পিছিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা প্রকট বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।