প্রখ্যাত ভারতীয় চিত্রপরিচালক মীরা নায়ারের ছেলে জোহরান মামদানি। ১৯৯১ সালের ১৮ অক্টোবর উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় তার জন্ম। সদ্য ৩৪ বছরে পা দেওয়া এ রাজনীতিকের বাবা মাহমুদ মামদানি ভারতে জন্ম নেওয়া উগান্ডান শিক্ষাবিদ।
জোহরানের যখন ৫ বছর বয়স তখন তার মা-বাবা তাকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। এর দুই বছর পর তারা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে যান নিউ ইয়র্কে। মার্কিন রাজনীতিতে জোহরান মামদানির উত্থান হঠাৎ করেই। ২০২০ সালে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এ রাজনীতিক নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন।
২০২৪ সালের অক্টোবরে জোহরান মামদানি যখন নিউ ইয়র্কের মেয়র পদে লড়াই করার ঘোষণা দেন, তখন তিনি প্রায় সবার কাছেই অপরিচিত ছিলেন। এক বছরের কম সময়ে তিনি এতটাই পরিচিত হয়ে ওঠেন যে, তাকে নিয়ে সারাবিশ্বেই আলোচনা হতে থাকে। তিনি তার দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারানোর পর ভীষণভাবে আলোচনায় আসেন।
আরও পড়ুন:
প্রভাবশালী প্রার্থীদের তুলনায় মামদানি একদিকে যেমন তরুণ অন্যদিকে অনভিজ্ঞ। তবে তার ভাষ্য—পৃথিবী বদলাতে বয়স বা অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় ইচ্ছার।
আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট থেকে জোহরান মামদানি উঠে এসেছেন আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে। তিনি গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার। তিনি জানান, ক্ষমতায় গেলে ইসরাইলে নিউইয়র্কের অর্থ বিনিয়োগ বন্ধ করতে চেষ্টা করবেন।
তিনি মনে করেন, আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা উচিত।
জোহরান মামদানির জনকল্যাণমূলক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরাইল বিরোধিতায় বিরক্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে যেন আরও বেশি সংখ্যক মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয় জোহরান মামদানিকে নিয়ে। যার ফল ভোটেই পাওয়া গেছে।





