নিজ দেশের বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর একপ্রকার শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই ঘোষণার পর থেকেই বিশ্ব অর্থনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতি।
বুধবার নতুন করে বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ থেকে সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে এ কর। যার মধ্যে বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ, ভারতে ২৭, পাকিস্তানে ২৯, চীনে ৩৪, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে ৪৪ ও ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উচ্চ হারে মার্কিন শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের বিধি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি অর্থনীতিবিদদের।
সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতিবিদ ফিলিপ মনিয়ার বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, এর মূলনীতিগুলো প্রত্যেকটি দেশকে মানতে হবে। যদি কোন দেশের ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের বিধি মানতে দ্বিমত থাকে, তা নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী জানাতে হবে। কোনভাবেই একা সিদ্ধান্ত নিয়ে তা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেয়া যাবে না।’
ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ট্রাম্পের এ শুল্কনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শেয়ার বাজারে দরপতনসহ ডলারের দর কমতে শুরু করেছে। তাই বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে ট্রাম্প যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা গত ১শ' বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত।
ফিলিপ মনিয়ার বলেন, ‘ট্রাম্পের শুল্কনীতি স্থিতিশীল অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ, তার এ সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক গতিতে বাধাগ্রস্ত করবে।’
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নেগোশিয়েশনের মাধ্যমে এর সমাধান হতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।