হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন সাংবাদিকের কাছে ফাঁস হয় ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার বিষয়টি। এ নিয়ে তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আগেই ক্ষমা চেয়ে বসেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ। জানান, এই ঘটনার পুরো দায় তার। কিন্তু কথোপকথনের এত বিস্তারিত কীভাবে ফাঁস হলো, জানা নেই তার।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ বলেন, ‘আমি পুরো দায়িত্ব নিচ্ছি। গ্রুপটা আমিই তৈরি করেছিলাম। এরকম তো হয়, চ্যাট বক্সে দেখছেন একজনের নম্বর, পরে জানলেন সেটা আরেকজনের। এই জায়গাটায় কাজ করতে হবে। ভুল করেছি, সেটা শুধরাতে কাজ করতে হবে।’
যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন ভিন্ন কথা। জানালেন, কোনো গোপন তথ্যই ফাঁস হয়নি। সশস্ত্র এই যোদ্ধারা সারাবিশ্বের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করে। বলেন, এই কাজ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আরও আগে করা উচিত ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘কোনো ক্লাসিফাইড তথ্য ছিল না। তারা অ্যাপ ব্যবহার করেছিল, যেটা অনেকেই ব্যবহার করে সরকারি পর্যায়ে। এটা খুবই সফল অপারেশন ছিল। এফবিআইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবো না। এটা নিরাপত্তাজনিত ইস্যু। যেহেতু কথোপকথন ফাঁস হয়েছে, সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা উচিত। বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। এরপর থেকে জাতীয় নিরাপত্তা দল কাউকে বিপদে ফেলতে পারবে না। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এমন হয়েছে।’
এদিকে একই সুর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড ও সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির পরিচালক জন র্যাটক্লিফও গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করেন। সিনেটে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তুলসি গ্যাবার্ড।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথকে এই ইস্যুর কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এই ঘটনাকে বেপরোয়া আর অগোছালো দাবি করে সিনেটে ট্রাম্প প্রশাসনকে তুলোধুনো করেন ডেমোক্রেট সিনেটররা। এসময় তার পদত্যাগও দাবি করা হয়।