নানা আলোচনা সমালোচনায় ক্ষমতা গ্রহণের ১ মাস অতিবাহিত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাত্র ৩০ দিনেই নির্বাহী আদেশের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তিনি। সই করেছেন ৬৭টি নির্বাহী আদেশে, যা ৪০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নতুন করে আরও দু'টি নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রথমটিতে কৃত্রিম গর্ভধারণ ব্যবস্থা বা আইভিএফকে সহজলভ্য ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে স্বতন্ত্র সংস্থাগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াতে ব্যবস্থাপনা ও বাজেট দপ্তরকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, সরকারি কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা তৈরিতে সই করা হয়েছে স্মারকলিপিতে। প্রেসিডেন্ট জানান, আইভিএফকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিবেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'গর্ভধারণ বাড়াতে যা করা সম্ভব, আমরা সে সব ব্যবস্থাই নিচ্ছি। আশা করি স্বামী-স্ত্রী ও পরিবারের সব সদস্য আমাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করবেন।'
এদিকে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের পর মোটরগাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধের ওপর আমদানি শুল্কারোপের নির্দেশ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন এই শুল্কারোপ কার্যকর হবে দোসরা এপ্রিল থেকে। জানান, শুল্কারোপের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কারখানা তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমি বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। শুল্ক ও প্রণোদনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছি। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের দেশে এসে ব্যবসা করতে চাইছে। যারা চলে গিয়েছিলো, তারাও ফিরে আসতে চাইছে।'
এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শাসনামলে নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলদের চাকুরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন বিচার দপ্তরের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই অধিকাংশ রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিদের কাছে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রেসিডেন্টের দাবি, বিচার দপ্তরকে রাজনীতিকরণের মাধ্যমে কলুষিত করেন বাইডেন। যা সংস্কারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনা হবে।