১৭ ফেব্রুয়ারি অস্বাভাবিক এক বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বড় ধরণের কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ৮০ জন আরোহী নিয়ে পুরোপুরি উল্টে যায় ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ফোর-এইট-ওয়ান-নাইন সিরিজের বিমান।
কানাডিয়ান বোম্বারডিয়ার কোম্পানির তৈরি এই বিমানটিতে উচ্চমানর জিই অ্যারোস্পেস মডেলের ইঞ্জিন থাকায়- এর সক্ষমতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। উড্ডয়নের আগে চোখে পড়েনি কোনো ত্রুটিও। অথচ দুর্ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অন্তত একটি ডানা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস-সেইন্ট পল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করা বিমানটি টরেন্টোতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর দেখা যায়, তীব্র তুষারপাত আর বাতাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিমান থেকে বের হতে আরোহীদের রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে।
এ ধরণের বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিমান উল্টে যাওয়া অস্বাভাবিক মনে হলেও অসম্ভব নয় বলে মনে করেন এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিমান উল্টে যাওয়ার সাথে ডানা ভেঙে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া, বিমান উল্টে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে নিউজউইক ম্যাগাজিন জানায়, ডেল্টা এয়ারের ঐ বিমানের অডিও রেকর্ডিং থেকে একটি স্পষ্ট হয়েছে, অবতরণের আগ মুহূর্তে আকাশে থাকা অবস্থায় বিমানটি বাতাসের সাথে বড় ধরণের বাম্প বা ধাক্কা খায়।
বিমানের পাইলটও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপরই বিমানের নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়নি- এমনটাও হয়ে থাকতে পারে বলে দাবি করছে নিউজউইক।