গেল সোমবার ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই প্রতিবেশী মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে অভিবাসীদের প্রবেশ নিষিদ্ধে নির্বাহী আদেশ জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনই অবৈধ অভিবাসনকে জাতীয় জরুরি সংকট ঘোষণা করেন এবং সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহযোগিতার দায়িত্ব দেন সেনাবাহিনীকে। রাজনৈতিক আশ্রয় এবং মার্কিন ভূখণ্ডে জন্ম নেয়া ভিনদেশি মা-বাবার সন্তানকে নাগরিকত্ব প্রদান নিষিদ্ধেও নেন পদক্ষেপ।
বিপদসংকুল পথ পেরিয়ে কোনোরকমে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশটিতে পা রেখেছিলেন ভাগ্য বদলে আশায়। ট্রাম্পের দায়িত্বের প্রথম তিনদিনেই গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন পাঁচশ'র বেশি অবৈধ অভিবাসী।
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট তথা আইসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আটক পৌনে ৪শ' ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে।
দেড়শ'র বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ দেখাতে পারেনি প্রশাসন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে হাজার খানেক অবৈধ অভিবাসীকে। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর অবস্থান সীমান্তে অপরাধ বাড়াবে, বলছে স্থানীয় প্রশাসন।
ম্যাভেরিক কাউন্টি, টেক্সাসের তদন্ত কর্মকর্তা ভ্যালেরিয়ানো পেরেজ বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতায়, আমি মনে করি যে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক বেশি গাড়ি আমাদের আটকাতে হবে। ঝোপঝাড়, খামারের ভেতর দিয়ে চোরাচালানে জড়িত আরও অনেক মানুষের মুখোমুখি হতে হবে।’
টেক্সাস সীমান্তের প্রধান টহল কর্মকর্তা রবার্ট ড্যানলি বলেন, ‘সীমান্তে অনুপ্রবেশ যত কঠিন হবে, মানুষ তত বেশি মরিয়া হয়ে উঠবে, তা সে অবৈধ অভিবাসী হোক কিংবা পাচারকারী। অর্থের পাহাড় গড়তে অপরাধী চক্রগুলোকে সফল হতেই হবে। তাদের চেষ্টা বন্ধ হবে না। তাদের চেষ্টা যত কঠিন হবে, তত আমরা হামলা, শক্তির প্রয়োগ বেশি দেখবো।’
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে ১০ হাজার সেনা চেয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে অনুরোধ জানাতে পারে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সীমান্তে টহল বিষয়ক ফাঁস হওয়া একটি নথির বরাতে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।