দুই সপ্তাহে আগে মন্ত্রিসভা গোছাতে শুরু করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলো বণ্টন হলেও বাকি ছিল অর্থ দপ্তর। শনিবার স্কট বেসেন্টের মনোনয়নের মাধ্যমে দপ্তরটি পেলো পূর্ণতা।
আমেরিকা ফার্স্ট এজেন্ডার দীর্ঘদিনের সমর্থক স্কট ব্যক্তি জীবনে একজন হেজ ফান্ড ম্যানেজার। সাউথ ক্যারোলাইনার এই ধনকুবের কাজ করেছেন ট্রাম্পের অন্যতম অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে। ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ফাইন্যান্সারের কাজ করায় ধারণা করা হচ্ছে, নতুন প্রেসিডেন্টের বিদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপের পরিকল্পনায় ভাটা পড়তে পারে।
একই দিনে নতুন শ্রমমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে কংগ্রেস ওমেন শ্যাভেজ ডি রেমারকে। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে নিরন্তর কাজ করে গেছেন ৫৬ বছর বয়সী এই নেত্রী। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের আশা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি মজুরি বাড়ানো ও কর্মপরিবেশ উন্নতিতে কাজ করবেন রেমার। যদিও এবারের নির্বাচনে ওরিগন থেকে হেরে যান তিনি।
অর্থ ও শ্রমের পাশাপাশি শনিবারই বণ্টন করা হয়েছে কয়েকটি দপ্তর। এদিন হাউজিং এন্ড আর্বান ডেভলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব পেলেন সাবেক এনএফএল খেলোয়াড় স্কট টার্নার। সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশনের পরিচালক হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে ডেভ ওয়েলডনকে। ফক্স নিউজের মেডিক্যাল কন্ট্রিবিউটর জ্যানেট ন্যাশেওয়াত দায়িত্ব পালন করবেন সার্জন জেনারেল হিসেবে। খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন কমিশনারের দেখভাল করবেন চিকিৎসক মার্টি ম্যাকারি। এছাড়াও দ্বিতীয় মেয়াদে অফিস অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের ডিরেক্টরের পদ পেলেন রাসেল ভট।