অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়ে হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অর্থনীতি সংস্কারের নানা নীতি এখন বাস্তবায়নের পথ। ক্ষমতা গ্রহণের আগেই ট্রাম্প ম্যানিয়ায় বাড়ছে ডলারের মূল্য, আকাশচুম্বী ক্রিপ্টোকারেন্সি। পুঁজিবাজারেও লক্ষ্য করা গেছে উর্ধ্বগতি।
বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখে মার্কিন জনগণ। ২০২২ সালের জুনে মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ। সেখান থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে ৩ শতাংশের নিচে। যদিও বর্তমান মূল্যস্ফীতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের মেয়াদে ক্ষমতা ছাড়ার চেয়েও বেশি। ফলে মধ্যবিত্ত মার্কিনরা ব্যক্তি ট্রাম্পকে পছন্দ না করলেও ভোট দিয়েছেন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ঘোষণাকারী ব্যবসায়ী ট্রাম্পকে।
এ বিষয়ে এক মার্কিন নাগরিক বলেন, ‘আমি কী ব্যক্তি ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছি? উত্তর হলো না। পয়সা বাঁচানোর জন্য আমি রাজনীতিবিদ ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছি। অনেকেই নিজেদের সঞ্চয় রক্ষায় এমনটি করেছেন।’
তবে বিদেশি পণ্যে ১০ শতাংশসহ চীনা পণ্যে ৬০ শতাংশ শুল্কারোপ আবারো মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণা সংস্থা থার্ড ওয়ের প্রতিবেদন বলছে, বাড়তি শুল্কের এই বোঝা পড়বে জনগণের কাঁধে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে মধ্যবিত্ত মার্কিন পরিবারকে বছরে বরাদ্দ করতে হবে ২০০ ডলার। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি।
ইরভিং পার্কের নির্বাহী পরিচালক জন সিহারিস বলেন, ‘মেক্সিকো, কানাডা, মধ্য আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আমাদের দেশে খাদ্য আসে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সব ধরনের পণ্যে শুল্কারোপ করতে শুরু করে, এগুলোর জন্য কার পকেট থেকে অর্থ ব্যয় হবে?’
মার্কিন অলাভজনক সংস্থা ফার্ম ওয়ার্কার জাস্টিসের প্রতিবেদন বলছে, কৃষিকাজে জড়িত যুক্তরাষ্ট্রের ৬৮ শতাংশ জনগণই অভিবাসী। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন ল্যান্ড অফ অপরচুনিটিতে। বিশ্লেষকদের ধারণা, আগ্রাসী পদক্ষেপ গ্রহণে তীব্র হবে কর্মী সংকট, বাড়বে মূল্যস্ফীতি, সংকুচিত হবে অর্থনীতি।