কানাডায় শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় গেল মে মাসে তিন ভারতীয় নাগরিককে অভিযুক্ত করে কানাডা। এ হত্যাকাণ্ডের নীল নকশায় ভারত সরকারের হাত থাকতে পারে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এমন অভিযোগ করলে তখন থেকেই নয়াদিল্লি-অটোয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় ধরনের উত্তেজনাও দেখা দেয়।
এবার সে আগুনে ঘি ঢালতে চাঞ্চল্যকর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কানাডার গ্লোব ও মেইল পত্রিকা। প্রতিবেদনে কানাডিয়ান সিকিউরিটি এজেন্সির বরাতে বলা হয়েছে, হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ছক সম্পর্কে আগেভাগেই জানতেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও সংবাদ প্রকাশের ঠিক পর দিন অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে মূল খবর।
তবে এ প্রতিবেদনে রীতিমতো চটে গেছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রানধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন, ভারত সচরাচর সংবাদপত্র প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় না। কিন্তু কানাডিয়ান সরকারের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদপত্র যে মিথ্যাচার করেছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর পেছনে ট্রুডো প্রশাসনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না নয়াদিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র রানধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘আমরা সচরাচর সংবাদপত্র প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাই না। কানাডিয়ান সরকারের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদপত্র যে মিথ্যাচার করেছে, তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।’
কানাডায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পেছনে ভারত সরকারের সম্পৃক্ততা আছে বলে এর আগে একাধিক মাধ্যমের দাবি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। আর এমন কীর্তি করে ভারত এর গোপণীয়তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সাম্প্রতিক এই প্রতিবেদনের কারণে দুই দেশের বৈরিতা আরও বাড়াবে এমন আশঙ্কা ভারতীয় গণমাধ্যমের।