ড্রামে কাঠির আঘাত বার্তা দিচ্ছে দামামা বাজছে যুদ্ধের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মার্কিন নারীদের জন্য যুদ্ধ থেকে কোনো অংশেই কম নয়। কারণ ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে গর্ভপাতের অধিকার সুরক্ষার মাধ্যমে প্রগতিশীলতার চর্চা হবে, নাকি কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে প্রস্তর যুগে হাঁটবে যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচনের দু-দিন আগে রাজধানী ওয়াশিংটনে গর্ভপাতের অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে হয়েছে পদযাত্রা। কয়েক হাজার মানুষের এই পদযাত্রার গন্তব্য হোয়াইট হাউজের সামনে। গর্ভপাতের স্বাধীনতার পাশাপাশি নারীদের অধিকার নিশ্চিতের দাবি ছিল অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠে। এসময় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিসকে ভোট দেয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, ‘নারীদের দেহ ও জীবনের স্বাধীনতা নিশ্চিতের জন্য আমরা একত্রিত হয়েছি। নারীর অধিকারই মানবাধিকার। আমরা অন্ধকার সীমানার শেষ প্রান্তে চলে এসেছি।’
আরেক অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। কারণ যদি হেরে যাই, তাহলে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান যাই হই না কেনো, রক্ষণশীল দেশের মতো ১০ বছর পিছিয়ে যাবো। এছাড়া এটি স্বাধীনতা বা ফ্যাসিজমের পক্ষে ভোট হচ্ছে। এর কোনো মধ্যবর্তী স্থান নেই। জীবনের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য, স্বাধীনতার জন্য ও আমাদের পরিবারের জন্য ভোট দিতে যাবো।’
২০২২ সালে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। এরপর থেকে নারী স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টির সিদ্ধান্ত ভার দেয়া হয়েছে অঙ্গরাজ্যের ওপর। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ।
ক্ষমতায় আসলে পুরো দেশেই এই আইন কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নারীদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ, বিদ্রুপ বা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে মন্তব্য করতেই দ্বিধা বোধ করেন না রিপাবলিকান প্রার্থী। তাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা গেছে ওয়াশিংটনের পদযাত্রায়।
র্যালিতে অংশ নেয়া আরেকজন বলেন ‘দেশ ও মার্কিন নারীদের অধিকারের কী হতে যাচ্ছে তা চিন্তা করেই আমি শঙ্কিত। আমাদের দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন এটি। তবে অনেক মার্কিনই এ বিষয়টি অনুধাবন করতে পারেনি।’
আরো এক পদযাত্রী বলেন, ‘যখন আপনি পরিবর্তন হতে পারে বিষয়টি আরেকজনকে বিশ্বাস করাবেন, দেখবেন পরিবর্তন হচ্ছে। পুরো বিষয়টি আসলে গণতন্ত্রের ওপর নির্ভর করছে।’
বিশ্লেষকদের ধারণা এবারের নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতিই পার্থক্য গড়ে দিবে দুই প্রার্থীর মধ্যে। আগাম ভোটগ্রহণে শনিবার পর্যন্ত নারী ভোটারদের অংশগ্রহণের হার ৫৩ শতাংশ। ৪৪ শতাংশ ভোট দিয়েছেন পুরুষ ভোটার।