উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

মার্কিন ভোটারদের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসছে ততোই ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা। কে ধরবেন মূল্যস্ফীতি, অভিবাসন সংকট আর ঋণে জর্জরিত যুক্তরাষ্ট্রের হাল? প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা শেষ সময়ে ভোটারদের মনোযোগ কাড়তে প্রচারণায় ব্যস্ত হলেও অনেক ভোটার বলছেন, এবার কোনো প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা রাখে।

দরজায় কড়া নাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে জনমনে বাড়ছে উত্তেজনা। নির্বাচনী প্রচারণার পাশাপাশি বিভিন্ন র‌্যালিতে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডেমোক্রেট প্রার্থী কামালা হ্যারিস আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, একে অনেকেই ভয়াবহ হিসেবে বিবেচনা করছেন। কোন প্রার্থী নির্বাচিত হলে কীভাবে দেশের হাল ধরবেন, এই নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ সাধারণ মার্কিনদের।

স্থানীয় একজন বলেন, 'নির্বাচনের এক সপ্তাহ বাকি। আমি উদ্বিগ্ন। আমার বয়স ১৯। নির্বাচন নিয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। কামালা হ্যারিসকে দেখে আশাবাদী হই, যে ভালো কিছু হবে। কিন্তু প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় যেসব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে চিন্তিত না হয়ে পারি না। যদি ভিন্ন কিছু হয়, তাহলে বিষয়টা ভয়ংকর হবে।'

স্থানীয় একজন ভোটার বলেন, 'এক সপ্তাহ বাকি নির্বাচনের। আমি বেশ চিন্তিত। ধীরে ধীরে নির্বাচনী উত্তাপ স্পষ্ট হচ্ছে। আমি বেশ উত্তেজিত। কারণ এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিচ্ছি।'

নির্বাচন নিয়ে কেউ আশাবাদী, কেউবা আবার ভীত। কেউ বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাগলামি বক্তব্যই প্রমাণ করে, তিনি কখনই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ্য ছিলেন না। অনেকে ডেমোক্রেট প্রার্থী কামালাকে সমর্থন দিলেও কেউ কেউ বলছেন, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যোগ্য কোনো প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমরা আবারও বিপাকে। রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমন বোনো নেতা আমাদের দিলো না যাকে চোখ বন্ধ করে নির্বাচিত করা হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এজন্য আমি বয় পাচ্ছি।'

একজন তরুণ ভোটার বলেন, 'এই নির্বাচন বিরাট আকর্ষণীয় বিষয়। ট্রাম্পের বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত। এই লোক আমাদের দেশের নেতা হওয়ার যোগ্য না। তার প্রথম মেয়াদে তিনি খুব ভালো কিছু করে যেতে পারেননি। ভুলভাল কথা বলতেই থাকেন তিনি। কামালা হ্যারিস জিতলে খুশি হবো। ডেমোক্রেটদের টার্নআউট প্রয়োজন।'

শেষ মুহূর্তে ব্যাটেলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রচারণায় বেশ তোড়জোড় চালাচ্ছে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা আর ট্রাম্প। সুইং স্টেটগুলোর স্বাধীনচেতা ভোটারদের দলে টানতে ব্যস্ত হয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে খেয়াল রাখছেন, ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের নিশ্চিত জয় হবে, এমন অঙ্গরাজ্যগুলোতে যেন আগাম ভোট দিয়ে দেন ভোটাররা, কিংবা ৫ নভেম্বর নিশ্চিত করেন পছন্দের প্রার্থীর জয়।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর