মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর মাত্রা ১৯ দিন। তাই শেষ সময়ে এসে হোয়াইট হাউসের মসনদ নিশ্চিতে মরিয়া শক্ত দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটারদের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে একজন আরেকজনকে আক্রমণ করে তুলে ধরছেন প্রতিশ্রুতির কথা। এবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই কিছুটা ছোট করলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস।
মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক ব্রেট বেয়ারের করা এক প্রশ্নের জবাবে কামালা হ্যারিস বলেন, 'তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাঁর কাজের ধরন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চেয়ে আলাদা হবে।' প্রেসিডেন্ট হলে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করতে চান বলেও জানান কামালা।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্র্যাটিক মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, 'প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ধারাবাহিকতা আর থাকছে না। তাই প্রত্যেক নতুন প্রেসিডেন্টের মতো, আমি আমার জীবনের অভিজ্ঞতা, আমার পেশাগত অভিজ্ঞতা এবং নতুন ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করবো। আমি নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।'
আধা ঘণ্টার ওই সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল গেল সপ্তাহে কামালার করা বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন। এছাড়া অভিবাসন এবং লিঙ্গ রূপান্তরজনিত অস্ত্রোপচার প্রসঙ্গে কথা বলার সময় সঞ্চালকের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনাও ঘটে।
এরপর রিপাবলিকান মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির কামালার সাক্ষাৎকার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কামালার খেঁপে যাওয়া এবং আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিভিন্ন কথার সমালোচনাও করা হয়। মার্কিন নাগরিকেরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন, তার দায় তিনি আবারও এড়িয়ে গেছেন অভিযোগও তোলা হয়েছে। কারণ অবৈধ অভিবাসীদের সম্পর্কে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না, সে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন কামালা।
এদিকে অভিবাসীদের নিয়ে আবারও ভিত্তিহীন দাবি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওহাইও অঙ্গরাজ্যের অভিবাসীরা অন্যের পোষা প্রাণী চুরি করে খেয়ে ফেলা সম্পর্কে তার আগের দাবির সাফাই গেয়ে তিনি। অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে আয়োজিত জনসভায় এক ব্যক্তি ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে নিজের আগের মন্তব্যে অটুট থাকেন তিনি।
এমনকি সংবাদমাধ্যমে এসব ঘটনা উঠে এসেছে বলে দাবি করেন ট্রাম্প। তবে নির্দিষ্ট কোনও সংবাদ মাধ্যমের নাম উল্লেখ করেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'আমি কেবল যা রিপোর্ট করা হয়েছে সেটাই বলছি। তবে উচিত নয় এমন আরও অনেক কিছুই তারা খাচ্ছে। আমি কেবল রিপোর্ট করছি।'
তবে হাইতিয়ানদের পোষা প্রাণী খাওয়ার কোন বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। রিপাবলিকানসহ ওহাইয়োর কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন যে গল্পটি মিথ্যা। এরআগে ওহাইয়ো অঙ্গরাজ্যে বসবাসরত হাইতির অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেয়ার কথাও বলেছিলেন ট্রাম্প।
যদিও অধিকাংশ অভিবাসীই বৈধভাবে মার্কিন ভূখণ্ডে বাস করছেন। বলতে গেলে মার্কিন নির্বাচনে জয় নিশ্চিতে বড় তুরুপের তাস অবৈধ অভিবাসীদের বারবার টার্গেট করছেন ট্রাম্প।