উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

হারিকেন 'হেলেন'র আঘাত হানার শঙ্কায় ফ্লোরিডাবাসী

হারিকেনে রূপ নিতে পারে ক্যারিবিয়ান সাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঝড় 'হেলেন'। বুধবার নাগাদ এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে মেক্সিকো উপসাগরে ক্যাটাগরি তিন মাত্রার হারিকেনে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর। একইসঙ্গে, বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নাগাদ এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়। এদিকে, মেক্সিকো উপকূলে আঘাত জানা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় জনের আঘাতে অন্তত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে গোটা উপকূলীয় এলাকা।

আরও একটি দুর্যোগের পূর্বাভাস, আরও একটি হারিকেন আঘাত হানার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাবাসী।

চলতি বছর একের পর এক দুর্যোগে বিধ্বস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এবার দেখা দিয়েছে আরও একটি শক্তিশালী হারিকেন আঘাত হানার শঙ্কা। মার্কিন আবহাওয়াবিদদের তথ্যমতে, ক্যারিবিয়ান সাগরে সৃষ্টি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঝড় 'হেলেন' আরও শক্তি সঞ্চয় করে বুধবার নাগাদ মেক্সিকো উপসাগরে ক্যাটাগরি তিন মাত্রার হারিকেনে রূপ নিতে পারে। একইসঙ্গে, বৃহস্পতিবার নাগাদ এটি ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কাও করছেন আবহাওয়াবিদরা। এরই মধ্যে ফ্লোরিডা উপকূলে জারি করা হয়েছে হারিকেন সতর্কতা।

ঝড়ের প্রভাবে মেক্সিকো ও কিউবা উপকূলে বিরাজ করছে বৈরি আবহাওয়া। অব্যাহত রয়েছে ঝড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত। উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মেক্সিকো উপকূলে এরই মধ্যে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে মাছ ধরার নৌকা ও জেলেদের। যদিও, আবহাওয়া সতর্কতা উপেক্ষা করেই মেক্সিকোর কানকুন সমুদ্র সৈকতে ভিড় করছেন স্থানীয় ও পর্যটকরা।

স্থানীয় ও পর্যটকরা জানান, 'গতকালও আবহাওয়া ভালো ছিল। তবে, ঝড়ের কারণে আজ আমাদেরকে বলা হচ্ছে পানিতে না নামতে। এখানে কিছুটা সময় হয়তো অপেক্ষা করতে হবে'।

'বলা হচ্ছে শক্তিশালী ঝড় আসছে। এজন্য আমরা কালই চলে যাবো। যদিও আজ পর্যন্ত মোটামুটি সবকিছুই স্বাভাবিক। ফ্লাইট বন্ধেরও কোন খবর পাইনি। আশা করছি কাল চলে যাবো'।

অন্যদিকে, হারিকেন মোকাবিলায় এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কিউবার বাসিন্দারা। হারিকেন সতর্কতা জারি থাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যার আশঙ্কায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ঘরবাড়ি নিরাপদ রাখতে প্রস্তুত হচ্ছেন তারা। সেইসঙ্গে, নিরাপদ স্থানেও আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে।

স্থানীরা বলেন, 'এটা সত্যিই দুঃখজনক যে, জীবন বাঁচাতে আমরা নিরাপদ স্থানে যাচ্ছি অথচ তেমন কোনকিছুই সাথে নিয়ে যেতে পারছি না'।

এই মৌসুমটা অত্যন্ত দুর্যোগপ্রবণ। প্রায় প্রতি বছরই এই সময়ে হারিকেন কিংবা ঝড় আঘাত হেনে থাকে। আর এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আমরা তাই চেষ্টা করছি এবার যেন তেমনটা না হয়।

এদিকে, শক্তিশালী আরেক গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় জনের আঘাতে লন্ডভন্ড মেক্সিকোর দক্ষিণ উপকূল। এতে, এরই মধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। ঝড়ের প্রভাবে একটানা প্রবল বর্ষণে উপকূলজুড়ে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। তলিয়ে গেছে বহু ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট।