সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দুই মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো হত্যা চেষ্টার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে মার্কিন প্রশাসন। নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাচ্ছেন ট্রাম্প।
মৃত্যুকে জয় করে আসা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর জন্য সমর্থকদের ভালোবাসাও বেড়েছে বহুগুণ। অনেকেই বলছেন, 'ট্রাম্পের জন্য বন্দুকের সামনে বুক পেতে দিতে প্রস্তুত তারা। আবার ঈশ্বরের দূত হিসেবেও ট্রাম্পকে অভিহিত করছেন অনেকে।'
সমর্থকদের মধ্যে একজন জানান, আমাদের দেশ নির্বাচনী যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে। তাই ট্রাম্পকে সমর্থনের জন্য আমি সবকিছু করতে প্রস্তুত। এমনকি প্রয়োজন হলে ট্রাম্পের জন্য বুলেটের সামনে দাঁড়াতেও রাজি আমরা।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমি বিশ্বাস করি আপনাকে ঈশ্বর প্রেরণ করেছেন। আব্রাহাম লিঙ্কনের বাণী ছিল, জণগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের সরকার। এই প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্যই আপনাকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান আরো একজন সমর্থক।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই জোর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ৭৮ বছর বয়সী এই নেতা। নিউইয়র্কের ইউনিয়নডেলে এক নির্বাচনী সভায় রিপাবলিকান প্রার্থী জানান, বারবার হত্যার চেষ্টা তার মনোবল বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।
রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, 'মৃত্যুর সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ায় আমার মনোবল ভাঙ্গেনি। এতে আমার লক্ষ্য আরো দৃঢ় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো সর্বশ্রেষ্ঠ ও শীর্ষে রাখার ক্ষেত্রে হত্যা চেষ্টা আমার সময় নষ্ট করে বাধা তৈরি করেছে ।'
এদিকে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে লাতিন ভোটারদের কনফারেন্সে ট্রাম্পের অভিবাসন বিষয়ক পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছেন কামালা হ্যারিস। ডেমোক্র্যাট এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আরও জানান, সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে ট্রাম্পের পরিকল্পিত গণনির্বাসন বা বিশাল বন্দিশালার কোন প্রয়োজন নেই। এসময় তিনি ঘোষণা দেন, নির্বাচিত হলে প্রথমবারের মতো বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ২৫ হাজার ডলার সহায়তা দেবে তার সরকার।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বলেন, 'আমরা যখন দেশকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিতে কাজ করছি, সেসময় ট্রাম্প ও তার কট্টর মিত্ররা আমাদেরকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। পরিবারকে ভাঙ্গতে তারা কী করেছে, তা আমরা জানি। এখন তারা মার্কিন ইতিহাসের গণনির্বাসন চাইছে। চিন্তা করুন কীভাবে এটি হবে? বড় অভিযান আর বড় বন্দিশালা। এটা কোনো কথা?'
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা কামালা হ্যারিস, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকেই সমর্থন না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়ন টিমস্টার্স। যদিও জরিপে দেখা গেছে, ১ কোটি ৩০ লাখ সদস্যের শ্রমিক ইউনিয়নের প্রায় ৬০ শতাংশই ভোট দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্পকে।