১ জুলাই থেকে সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে, ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমনপীড়নে কয়েকশ' মানুষের প্রাণহানির পর আন্দোলন পরিণত হয় এক দফায়। ৩৬ দিনের আন্দোলনে জনরোষের বিস্ফোরণে পদত্যাগের পাশাপাশি দেশত্যাগ করেন শেখ হসিনা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের দায়িত্ব পান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের মদদের অভিযোগ করছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তবে এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (১২ আগস্ট) হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব কারিন জ্যঁ পিয়েরে জানান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই। একইসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশের জনগণকেই সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে।
কারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেন, 'আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। এই সম্পর্কিত যেকোনো প্রতিবেদন কিংবা তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বাংলাদেশের জনগণই এমনটা চেয়েছে। বাংলাদেশের জনগণকেই সরকারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে।'
যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাও। সম্প্রতি ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কূটনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইন্সটিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মদদ নয়, বরং আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক দমন-পীড়ন শেখ হাসিনার পতন ডেকে এনেছে। শেখ হাসিনা পুত্র জয়কে ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বদলে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দেয়ারও আহ্বান জানান কুগেলম্যান।