উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

ফেসবুক-ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ফিরে পাচ্ছেন ট্রাম্প

অবশেষে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে মেটা। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে রাজনৈতিক সমতা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে মেটা। অন্যদিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার দলকে বড় অংকের অনুদান দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যম এক্স ও প্রযুক্তি জায়ান্ট টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক।

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ক্যাপিটল হিল দাঙ্গায় উসকানিমূলক পোস্ট দেয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করে ফেসবুক। নিষেধাজ্ঞার পর অনেকটা জেদের বসে 'ট্রুথ সোশ্যাল' নামে নিজেই একটি সামাজিক মাধ্যম খুলে বসেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছিলেন, তার ওপর আনা এই নিষেধাজ্ঞা কোটি কোটি মার্কিন নাগরিকের জন্য অপমান।

ফেসবুকে কোনো দেশের প্রেসিডেন্টকে নিষিদ্ধ করার নজির এটাই প্রথম। অপ্রত্যাশিত এই ধাক্কা সামলে নিতে সামাজিক মাধ্যম এক্স ও টিকটকেও অ্যাকাউন্ট খোলেন ট্রাম্প। ৭৬ লাখ অনুসারি জুটে যায় রাতারাতি।

শুরুতে ফেসবুক থেকে ট্রাম্পকে চিরতরে নিষিদ্ধের প্রস্তাব দেয়া হলেও এর বিরোধিতা করে তৎকালীন ওভারসাইট বোর্ড। জানায়, ২০২৩ সালের পর বিষয়টি আবারও বিবেচনা করা হবে।

অবশেষে ট্রাম্পের ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা। ঘোষণায় বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পকে তার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেয়া হবে। রাজনৈতিক মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতেই মেটার পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ফক্স নিউজকে জানান মেটার শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা। তবে, ভবিষ্যতে ট্রাম্প যদি মেটা'র সংশোধিত নীতিমালা লঙ্ঘন করেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। মেটার এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কোনো মন্তব্য করেনি ট্রাম্প বা তার প্রচার দল।

ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামে ফিরছেন ট্রাম্প- এই খবরে যখন মার্কিন গণমাধ্যম ছেয়ে গেছে তখন আলোচনার টেবিলে ফিরেছেন আরেক সামাজিক মাধ্যম এক্স ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। শুরু থেকেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কঠোর সমালোচনা করে আসছিলেন মাস্ক। এবার ট্রাম্পের প্রচারে দলকে বড় অংকের অনুদান দিয়েছেন তিনি। গেল শুক্রবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ট্রাম্পের প্রচার দল, গ্রেট অ্যামেরিকা প্যাক-কে ইলন মাস্ক ঠিক কি পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন- সে বিষয়ে প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে অংকটি নেহাত কম নয় সেটির উল্লেখ আছে স্পষ্টভাবে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে রিপাবলিকান অর্থদাতাদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

গেল মার্চে ধনকুবের মাস্কসহ বেশ কয়েকজন অর্থদাতার সাথে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। এর কিছুদিন পর এক এক্স বার্তায় মাস্ক জানান, তিনি কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকেই অর্থ সহায়তা দেবেন না। মে মাসে দেয়া এই মাস্কের বক্তব্য এক মাস ঘুরতে না ঘুরতেই কেনো বদলে গেল? তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, ট্রাম্প আবারও ক্ষমতায় আসলে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্ট হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে ইলন মাস্ককে।

এসএস