ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্বে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর জ্যামাইকা উপকূলে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী হারিকেন বেরিল। ক্যাটাগরি-৪ মাত্রায় হারিকেনটি ব্যাপক তাণ্ডব চালায় রাজধানী কিংস্টনসহ বেশ কয়েকটি শহরে। প্রাণ গেছে অন্তত দুই জনের। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটারের বেশি।
হারিকেনের প্রভাবে প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি-স্থাপনাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। উপড়ে গেছে দ্বীপের অসংখ্য গাছপালা। ভারি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যায় ডুবেছে রাস্তাঘাট। ঝড়ের প্রভাবে উপকূলে ৬ থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অনেক গ্রাহক। ভূমিধসের শঙ্কায় নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে জ্যামাইকার কয়েকশ' বাসিন্দাকে।
জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হোলনেস বলেন, 'হারিকেন বেরিল ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্রাণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় একসঙ্গে কাজ করা হবে। নিরাপত্তা বাহিনী থেকে শুরু করে সবাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।'
জ্যামাইকান উপকূলে আঘাতের পর কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করে হারিকেন বেরিল। এরপর বেরিল আতঙ্কে মেক্সিকোয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১২০টি।
এদিকে হারিকেন বেরিল আসার খবরে মেক্সিকোর হোটেল, রিসোর্ট ও শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন পর্যটকরা। কানকুন বিমানবন্দরে ভিড় করছেন বহু মানুষ।
একজন পর্যটক বলেন, 'আমার ফ্লাইট মিস হয়েছে। আমাকে যেভাবেই হোক স্পেনে যেতে হবে। তবে বিমানবন্দরে মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানিয়েছিল এটি ক্যাটাগরি ওয়ান হবে। তবে এখন আরও শক্তিশালী হচ্ছে বেরিল।'
পরিবেশবিদদের অভিযোগ, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুমের আগেই আটলান্টিকে শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বাড়ায় ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে বেরিল।