উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
জাপান, ভারতও জেনোফোবিক: বাইডেন
চীন ও রাশিয়া'র সঙ্গে মিলিয়ে বন্ধু দেশ জাপান ও ভারতকেও জেনোফোবিক আখ্যা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটনে নির্বাচনি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মিত্র দেশ দু'টি নিয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি টোকিও ও নয়াদিল্লি।

চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের চির প্রতিদ্বন্দি হলেও তাদের মিত্র দেশের তালিকায় নাম আছে জাপান ও ভারতের। কিন্তু মস্কো ও বেইজিংয়ের সঙ্গে মিলিয়ে এবার টোকিও আর নয়াদিল্লিকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়া ও চীনের মতো জাপান, ভারতকেও জেনোফোবিক আখ্যা দিলেন তিনি। বলেন, 'তারা প্রবাসী আতঙ্কে ভোগার কারণে অভিবাসীদের স্বাগত জানাতে চায় না। যার কারণে দেশগুলোর আর্থিক উন্নয়ন গতি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।'

নিজের নির্বাচনী প্রচারের একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে মার্কিন অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার পেছনে প্রবাসীদের ভূমিকা রয়েছে বলেও দাবি করেন বাইডেন। আর এটি ভিনদেশিদের আমন্ত্রণ জানানোয় সম্ভব হয়েছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

অভিবাসীদের মন জয় করতে মিত্রদের নিয়ে এমন বিতর্কিত সমালোচনা করার বিষয়টি বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারের কৌশল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে অভিবাসীদের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এবারের নির্বাচনে অভিবাসন নীতি একটি বড় ইস্যু। কারণ যেখানে রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন বিরোধী অবস্থানে, সেখানে উদারপন্থী ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসনপন্থী।

পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে চীন। তবে মন্দার কারণে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির মুকুট হারিয়েছে জাপান। সেই জায়গা দখল করেছে জার্মানি। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত।

এমএসআরএস