গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে এয়ার কানাডার একটি কার্গো বিমানে গর্তের মধ্যে বহন করে আনা হয়, এরপর কন্টেইনারে করে টরোন্টোর উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
বিমানটি টরোন্টোর বিমানবন্দরে অবতরণ করে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বর্ণ আর বিদেশি মুদ্রা নামিয়ে এয়ার কানাডার কার্গো ব্যবস্থাপনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫ টনের ট্রাক নিয়ে এয়ার কানাডা কার্গোতে আসে সন্দেহভাজন। সে সময় তিনি জাল বিল সঙ্গে নিয়ে আসেন ওয়্যাার হাউজে।
এই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি গেল বছরের সেপ্টেম্বর থেকে মামলা শুরু হয়। সন্দেহভাজনরা সুইজারল্যান্ড থেকে আসা কার্গোটি চুরির জন্য একটি বিল তৈরি করেছিল।
গতকাল (১৭ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কানাডায় গ্রেপ্তার করা হয় ৫ জনকে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে গ্রেপ্তার হওয়া একজন এখনও সেখানে পুলিশি হেফাজতে আছেন।
এই কার্গোতে ছিল ২৫ লাখ কানাডিয়ান ডলারের বিদেশি মুদ্রা। ৪০০ কেজির এই স্বর্ণের বার আর বিদেশি মুদ্রার মূল্য ১৬০ কোটি ডলার। এক বছর আগে চুরি হওয়া এই স্বর্ণের বারগুলোর মধ্যে উদ্ধার করা গেছে মাত্র ১ কেজি স্বর্ণ। যার দাম প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ডলার।
এয়ার কানাডা বলছে, কার্গো বিভাগের একজন কর্মী সে সময় দায়িত্বে ছিলেন যখন এই চুরি হয়, একই বিভাগের আরেক কর্মী এই কাণ্ড হয়েছে, সেটা ঘোষণার আগেই পালিয়ে যায়। ওন্টারিওর পিলের আঞ্চলিক পুলিশ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র আর বিস্ফোরক ব্যুরোর সঙ্গে একযোগে কাজ করছে তারা।