উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

বাল্টিমোরের সেতু ভাঙনের প্রভাব মার্কিন অর্থনীতিতে

বাল্টিমোরের সেতু ভেঙে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি ও কয়লা বাণিজ্যে বড় ধরনের ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে পুরো দেশের অর্থনীতিতে। ইতোমধ্যে কমতে শুরু করেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। কিন্তু একটি সেতু ধসের ঘটনা কীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো?

একটি দৈত্যাকার কন্টেইনারবাহী জাহাজের ধাক্কায় ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজ ভেঙে যায়। এতে বন্ধ হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। দেশটির গাড়ি ও কয়লা বাণিজ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এছাড়া মধ্য-আটলান্টিক অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগও ব্যাহত হচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

পরিসংখ্যান বলছে, বাল্টিমোর বন্দরটি যানবাহন আমদানির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। বিশেষ করে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে সবচেয়ে বেশি গাড়ি আমদানি হয়। ২০২৩ সালে সার্বিকভাবে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ গাড়ি আসে যুক্তরাষ্ট্রে। যা অন্য কোন বন্দর দিয়ে কখনও আমদানি হয়নি।

এদিকে কয়লা রপ্তানিতেও গুরুত্বপূর্ণ বন্দর বাল্টিমোর। গতবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কয়লা রপ্তানি হয়েছে বন্দরটি দিয়ে। কিন্তু সেতু ভেঙে যাওয়ার মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর আটকে গেছে অনেকগুলো কয়লাবাহী জাহাজ। এর প্রভাবে কনসোল এনার্জির মতো বড় ধরনের কয়লা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।

এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলছেন, বাল্টিমোর শহরের সেতুটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখছে বন্দরটি। এছাড়া প্রতিদিন সেতুর ওপর দিয়ে ৩০ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হতো। সেতুটি পুনঃনির্মাণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন।

জো বাইডেন বলেন, 'এটি একটি ভয়ানক দুর্ঘটনা। তবে এটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে এমন কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তাই সবদিক বিবেচনায় বাল্টিমোরের জনগণকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। যতদিন লাগে আপনাদের পাশে থাকব।'

মন্দার ঝুঁকি কমাতে গাড়ি আমদানি ও কয়লা রপ্তানিতে বিকল্প বন্দরের কথা ভাবা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমদানি রুট পরিবর্তন করে ভার্জিনিয়া বন্দরসহ অতিরিক্ত লোড নিতে সক্ষম এমন বেশ কয়েকটি বন্দরকে বেছে নেয়া হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে বাল্টিমোর বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ঘাটতি পুষিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।