যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর বিশ্বের চোখ এখন গাজার দিকে। শেষ পর্যন্ত অসহায় ফিলিস্তিনিরা দুদণ্ড স্বস্তি পাবেন এমটাই প্রত্যাশা এখন সবার।
তবে আদৌ কী এ যুদ্ধবিরতিতে গাজায় সংঘাত বন্ধ হবে? নাকি এতেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি? সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্লেষকদের মনে।
নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার একদিন আগে তড়িঘড়ি করে গাজায় শান্তিচুক্তি কার্যকরে ট্রাম্পের ঘোষণাকে ভালো ভাবে দেখছেন না অনেকে। এরইমধ্যে ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দিতে জোর দাবি জানাচ্ছেন ইসরাইলিরা।
এমনকি ট্রাম্পের এই চুক্তিতে অনেক কিছুই পরিষ্কার নয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। যেখানে প্রথম ধাপে হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার পর ইসরাইল আদৌ গাজায় হামলা বন্ধ করবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
প্যালেস্টাইন আটলান্টিক কাউন্সিলের পরিচালক আহমেদ ফুয়াদ আলখাতিব বলেন, ‘বিষয়টি ভালো করে বুঝতে হবে। প্রথম ধাপে হামাস সব বন্দিকে মুক্তি দেবে। দ্বিতীয় ধাপে গাজার সরকার ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হবে। সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার পর কী হবে তা বলা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে গাজা যুদ্ধবিরতি বহুদূর।’
বন্দি বিনিময় নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। চুক্তির প্রথম ধাপ অনুযায়ী, সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে হামাসকে। সেক্ষেত্রে জীবিত ২০ ও ২৮ মরদেহ ফেরত দেয়ার কথা তাদের। তবে এক্ষেত্রে কতটা সফল হবেন তারা এ নিয়ে সন্দেহ জানিয়েছে ইসরাইলি প্রশাসন।
সিএনএনকে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যমতে, হামাসের কাছে ৭ থেকে ৮ ইহুদির মরদেহ রয়েছে। এমনকি যে ২০ জন জীবিত জিম্মির কথা বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে ২ জনের সুস্থতা নিয়েও রয়েছে গভীর উদ্বেগ। সেক্ষেত্রে হামাস পুরোপুরি শর্ত না মানলে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যেতে পারে বলেও শঙ্কা অনেকের।
আহমেদ ফুয়াদ আলখাতিব বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে, হামাস নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব বন্দিকে মুক্তি দিতে পারবে। তবে বন্দিদের মরদেহ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। যেসব জায়গায় তাদের মরদেহ সমাহিত করা রয়েছে, সেখানকার অনেক স্থান ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে।’
সব কিছু আমলে নিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।





