যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে ১৮ মার্চ থেকে গাজায় পুনরায় আগ্রাসন শুরুর পর, ঈদের মধ্যেও চলে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। এর মধ্যেই বুধবার (২ এপ্রিল) থেকে গাজা উপত্যকায় হামলার ভয়াবহতা আরও বড়িয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বাড়ানো হয়েছে হামলার মাত্রা। জাতিসংঘের ক্লিনিকেও হচ্ছে বোমাবর্ষণ। একযোগে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান অব্যাহত থাকায় ক্রমেই বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
হামলার পাশাপাশি দক্ষিণের শহরগুলো ছেড়ে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার জন্যও চাপ দিচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। অভিযানের পরিধি বাড়ানোর মধ্য দিয়ে হামাসের ওপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, 'আমরা এখন উপত্যকাটিকে বিভক্ত করছি। ধাপে ধাপে চাপ বাড়ানো হচ্ছে। যতক্ষণ না হামাস আমাদের কাছে সব জিম্মিকে হস্তান্তর করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত হামলার পরিধি বাড়ানো হবে। আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।'
তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর এমন হুমকি-ধামকিতে গাজাবাসী এখন আর ভয় পায় না বলে জানিয়েছেন উপত্যকাটির স্বজন হারা বাসিন্দারা। হামলায় প্রাণহানি ও মানবিক সংকট যতই বাড়ুক না কেনো, মাতৃভূমি ছাড়তে চান না তারা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, 'সৃষ্টিকর্তা ইসরাইলিদের ধ্বংস করুন। যেমন তারা আমাদের ধ্বংস করার জন্য উঠে পরে লেগেছে।'
অন্য একজন বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে নেতানিয়াহু গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামাবেন না। তবে কোনো কিছুতেই আমরা ভয় পেয়ে মাতৃভূমি ছেড়ে যাবো না।'
গাজায় হামলার মাত্রা বড়ানোর পাশাপাশি লেবানন আর সিরিয়াতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। অন্যদিকে ইয়েমেনেও হুথি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই চারদিনের সফরে হাঙ্গেরি গেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।