আজ (শুক্রবার, ১০ মে) সকালে সংবাদ মাধ্য রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল রাতে ইসরাইলের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় হামলা বন্ধ করতে কায়রোতে সবশেষ দফার আলোচনা শেষ হয়েছে। ইসরাইল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহ ও গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তার অভিযান চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে হামাস জানায়, ইসরাইলি এ হামলায় তারা শহরের পূর্ব উপকূলে জড়ো হওয়া ইসরাইলি ট্যাংক লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার নিক্ষেপ করেছে।
এর আগে জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস। এ প্রস্তাবের মধ্যস্ততাকারীদের ফিরে দিয়েছে ইসরাইল।
রয়টার্স প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ভিডিওতে ইসরাইলের হামলা করা এলাকায় কম্বলে মোড়ানো দু'টি লাশ দেকা গিয়েছে। এছাড়াও বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জননিহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে জঙ্গি আল-মুজাহেদিন ব্রিগেডের একজন, জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ও তার পরিবার এবং গ্রুপের আরেক নেতা, চিকিৎসক, আত্মীয়স্বজন ও দলটি রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম।
এদিকে ইসরাইল বলছে, হামাসের সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা থেকে বাঁচতে রাফায় লুকিয়ে আছে, যেখানে কয়েক হাজার গাজাবাসী আশ্রয় নিয়েছে।
এ হামলার নিন্দা জানয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, 'ইসরাইল হামাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে চাপ দিয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের চেয়ে গোষ্ঠীটির নেতৃত্বের অবশিষ্টাংশ খুঁজে বের করার আরও ভালো বিকল্প রয়েছে।'
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, গাজায় হামলা বন্ধ না করলে ইসরাইলকে আর অস্ত্র দেবে না হোয়াইট হাউজ।
তবে রাফায় হামলার পর নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় জানিয়ে দিয়েছেন, বাইডেন যদি অস্ত্র না দেয়, কোনো সাহায্য না করে তারপরও এম যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন তিনি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও প্রায় ৮০ হাজার আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস জঙ্গিদের আন্তঃসীমান্ত হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত ও ২৫২ জনকে অপহরণ করার জবাবে দেশটি অভিযান শুরু করে। ইসরাইলের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজায় ১২৮ জন জিম্মি রয়েছেন এবং ৩৬ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।