মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

'পরিবার হারিয়েও কাজ করছেন গাজার সংবাদকর্মী'

ইসরাইল-হামাসের সংঘাতের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে দিন-রাত কাজ করছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যক্তিগত যন্ত্রণা আর শোক ভুলতে হচ্ছে তাদের। টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিজিটিএনের সংবাদদাতা নূর হেরাজিন তাদেরই একজন। ইসরাইলের হামলায় পরিবারের ২৪ সদস্যকে হারিয়েছেন তিনি।

গোটা বিশ্ব যখন ইসরাইল-হামাস সংঘাতের অবসান ও জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে গাজায় স্বজন হারানোর শোক আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন অনেক সংবাদকর্মী।

পেশাগত কারণে গাজায় বেশ কয়েকবার ইসরাইলের হামলার কবলে পড়েন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিজিটিএন সংবাদদাতা নূর হেরাজিন। চোখের সামনে শহরের পর শহর নিশ্চিহ্ন হতে দেখেছেন। তবে ৭ অক্টোবরের পর ইসরাইলের গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে, সেটা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি।

সিজিটিএনের সংবাদদাতা নূর হেরাজিন বলেন, 'আমি গাজায় চারটি ইসরায়েলি আগ্রাসন দেখেছি। স্থলাভিযান জোরদার করতে দেখেছি। কিন্তু এবারের আগ্রাসন সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে খাবারও পানির সংকট- গাজার অবকাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।'

ইসরাইলের মিসাইল হামলায় বাড়িঘর হারিয়েছেন নূর। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সাথে রাফায় কোনোমতে দিন পার করছেন। চোখের পলকে গোটা জীবনটাই বদলে গেছে নূরের। তিনি জানান, এই মুহূর্তে খাবার জোগাড় করাটাই তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

নূর বলেন, 'গাজায় খাদ্য প্রস্তুত ও সরবরাহকারী অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। বেকারি, সুপার মার্কেট, খামার, সবকিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ত্রাণের খাবার গুলো অধিকাংশই প্রস্তুতকৃত বা ক্যান ফুড। এগুলো স্বাস্থ্যকর নয়, খেতেও খুব একটা ভালো না।'

ইসরাইল-হামাস সংঘাতে পরিবারের অন্তত ২৪ জন সদস্যকে হারিয়েছেন নূর। বন্ধু-স্বজন-সহকর্মী- মিলিয়ে তালিকাটা আরও লম্বা। তবুও থেমে থাকার জো নেই। যুদ্ধ যন্ত্রণাকে পাশে ফেলে আবেগ ও আর ভয় নিয়ন্ত্রণ করে বেঁচে থাকার চেষ্টা হেরাজিনদের।

এসএস