মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান

এবার ইসরাইলে হামলা শুরু হলো। ইরানের সঙ্গে একযোগে ইসরাইলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে লেবানন ও ইয়েমেন। হামলার পর দেশগুলো তাদের আকাশ পথ বন্ধ করে দেয়। সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরাইলের ওপর এই হামলা শুরু করে তেহরান।

রাত তখন ৩টা বাজে। ইসরাইলজুড়ে বেজে উঠে সাইরেন। ইসরাইলি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো একে একে আসতে থাকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এরপরই শুরু হয় ড্রোন হামলা। সাইরেনের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত হয় কান্নাকাটি ও চিৎকার। রাজধানী তেল আবিবসহ জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, বেথলেহেমের আকাশে উড়তে থাকে শত শত ইরানি ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র।

ট্রু প্রোমিজ নামে অভিযানের আওতায় ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। প্রথম দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তেহরান। এরপর শুরু অসংখ্য ড্রোন দিয়ে হামলা। এ সময় বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

এর আগে ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলের হামলায় ৭ বিপ্লবী গার্ডের সদস্য নিহতের হয়। ইরান বলছে- ইসরাইলের অপরাধের শাস্তি দিতেই যুদ্ধে নেমেছে তারা।

ইরানের আক্রমণ শুরুর পর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরাও ইসরাইল লক্ষ্য করে হামলা চালায়। কয়েক ডজন 'কাতিউশা' রকেট দিয়ে ইসরাইলের সেনা ঘাঁটিতে হামলা করে হিজবুল্লাহ। লেবাননেও পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ড্রোন দিয়ে হামলা করে হুতিরা।

এমন পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী জানান, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তার দেশ প্রস্তুত আছে। ইসরাইলের রয়েছে আয়রন ডোম, ডেভিডস স্লিংয়ের মতো অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যা রকেট, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেমিসাইল মোকাবিলা করতে সক্ষম।

ইরানের এমন হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা নেতারা। ওয়াশিংটনে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে।

এসএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর