যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি
এবার ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালালো ইসরাইলি বাহিনী। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে এই ঘটনায় অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারে পৌঁছেছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইসরাইলকে সমর্থন দেয়ার প্রতিবাদে বাইডেনকে ভোট না দেয়ার শপথ করেছেন মুসলিম আমেরিকানরা।

বোমা আর বুলেটের আঘাতে গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেও হামাসকে পরাজিত করতে পারছে না ইসরাইল। এখন কৌশল হিসেবে সহায়-সম্বলহীন মানুষকে টার্গেট করার অভিযোগ উঠেছে। ১৪ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল রাফাহ শহরেও হামলার জন্য পরিকল্পনা করছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন। এরইমধ্যে খাদ্য সহায়তার ট্রাকের জন্য অপেক্ষায় থাকা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যাও করা হয়েছে।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান আগ্রাসনের মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমেও ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংসের মাত্রা বাড়িয়েছে দখলদাররা। এছাড়া তরুণ ফিলিস্তিনিদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনকি আল-আকসা মসজিদে নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আসন্ন রমজান মাসে মসজিদ ও আশপাশের এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিতে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ।

এমন বর্বরতার পরও ইসরাইলের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমর্থনের জেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন মিশিগান অঙ্গরাজ্যে থাকা ৩ লাখের বেশি মুসলিম ভোটার।

মুসলিম ভোটাররা বলেন, ‘দিন শেষে বাইডেন নিজেই ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি তিনি মানবতাকে ব্যর্থ করেছেন। তাই মিশিগানের মুসলিম আমেরিকানরা ২৭ ফেব্রুয়ারির আগাম নির্বাচনে বাইডেনকে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবে।’

আইসিজেতে গণশুনানি চলছে।

এদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে করা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) করা একটি মামলার গণশুনানির শেষ দিনে অংশ নিচ্ছে তুর্কিয়ে, জাম্বিয়া, স্পেন, ফিজি ও মালদ্বীপের প্রতিনিধিরা। তবে এই মামলাটির সঙ্গে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার অভিযোগে আইসিজেতে করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার কোনো যোগসূত্র নেই।

এওয়াইএইচ