যুদ্ধ , মধ্যপ্রাচ্য
বিদেশে এখন
0

মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলায় ইরানের ড্রোন ব্যবহার

ইরাক আর সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর দফায় দফায় হামলার নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জর্ডানে ড্রোন হামলায় মার্কিন তিন সেনা নিহতের পর প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে উত্তপ্ত পুরো মধ্যপ্রাচ্য। জলপথের পাশাপাশি উত্তেজনা বিরাজ করছে সীমান্তগুলোতে। যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দেয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত মার্কিন বিভিন্ন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াশিংটনের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ইসলামিক রেসিস্টেন্স ইন ইরাক চালিয়েছে এই হামলা, অর্থায়ন করেছে ইরানের রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস।

ওয়াশিংটন বলছে, যে ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে, সেগুলো ইরানের তৈরি। একই ড্রোন রাশিয়াকে দেয়া হয়েছে ইউক্রেনে অভিযানের জন্য। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই হামলার জবাব দফায় দফায় দেয়া হবে। মূলত ইরাক আর সিরিয়ায় অবস্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ওপর চালানো হবে হামলা। যদিও এই হুমকির কড়া জবাব দিয়েছে তেহরান।

ইরান বারবারই সতর্ক করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রকে তেহরানের ভূখন্ডে হামলা না করতে। যদি যুক্তরাষ্ট্র অস্থিরতা তৈরি করে, এর কড়া জবাবের হুশিয়ারিও দিয়েছে ইরান।

লয়েড অস্টিন বলেন, ইরান এই হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলেও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে তেহরান অর্থায়ন করে, অনেক সময় প্রশিক্ষণও দেয়।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলার কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে গেছেন জো বাইডেন। নির্বাচন সামনে রেখে রিপাবলিকানরা বলছেন, নিজ দেশের সেনাদের এমন অনিরাপদ স্থানে মোতায়েন করে রাখা বাইডেনের ব্যর্থতা।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, কোনভাবে হামাস-ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে পারলে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

এসএস