ইউক্রেনে রাশিয়ার অব্যাহত হামলা কারণেই মূলত ভেস্তে যায় ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক। তবে ইউক্রেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অস্ত্রবিরতির এ প্রস্তাব সংক্ষিপ্ত এবং বাস্তবধর্মী হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে রাশিয়া এই প্রস্তাব মেনে নেবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
একদিকে শান্তি আলোচনা চললেও দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধ নেই। গেল রোববার রাতভর রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার বিমান ও ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ৩ জন। ড্রোন হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি আবাসিক ভবন। এর জবাবে রাশিয়ার ওপর ক্রমাগত হামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন।
গেল সোমবার রাশিয়ার ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চালানো ইউক্রেনের ৩৪টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে ক্রেমলিন। মঙ্গলবার ভোরে আরও ১৭টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। এর মধ্যে একটি ড্রোনের লক্ষ্যবস্তু ছিল রাজধানী মস্কো। এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন মস্কোর গভর্নর।
আরও পড়ুন:
ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে রাশিয়া। তাদের হামলায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল বলছে, রাশিয়ার এমন কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধের সমান।
যদিও রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করে কোনো লাভ হবে না। অর্থনৈতিক ও সামরিক চাপেও মস্কোকে টলানো সম্ভব না বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
সম্প্রতি রাশিয়ার রাজস্ব বন্ধ করার লক্ষ্যে তাদের দুটি বৃহত্তম জ্বালানি তেল কোম্পানি লুকোয়েল ও রোসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এর জেরে মস্কোর দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল কোম্পানি লুকোয়েল বিদেশে থাকা তাদের সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গেল এপ্রিল মাসে তেল কোম্পানিটির দৈনিক উৎপাদন ছিল চার লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল তেল। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল সরবরাহে লুকোয়েল কোম্পানির অবদান ২ শতাংশ।





