ইউক্রেনে পশ্চিমাদের বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের ভবিষ্যৎ কী

ইউক্রেনের অস্ত্র
ইউক্রেনের অস্ত্র | ছবি: সংগৃহীত
0

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির পর কিয়েভের জন্য পশ্চিমাদের সরবরাহ করা বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের ভবিষ্যৎ কী? ইউরেশিয়া অবজারভেটরি’র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব সমরাস্ত্রের ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের কথা। বলা হচ্ছে, সংঘাত শেষ হলে এই অস্ত্রগুলো কালোবাজারির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে খোদ ইউরোপের অস্ত্রের বহরে।

ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাত চলছে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। এতোদিনে কিয়েভে অন্তত ছয় হাজার ৬০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা একাই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দিয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি ইউরোর সামরিক সহায়তা। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে টিকে থাকতে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে গেছে পশ্চিমাদের দেয়া শত শত সমরাস্ত্র।

ইউরাশিয়া অবজারভেটরির প্রতিবেদনের উঠে এসেছে এই সমরাস্ত্র নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বলা হচ্ছে, কিয়েভে এখনও মজুত রয়েছে অনেক বেশি সমরাস্ত্র। অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদন বলছে, যুদ্ধ থেমে গেলে মার্শাল ল তুলে নেয়া হবে। পুলিশের ক্ষমতা কমে যাবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে অর্থনৈতিক সংকট বাড়লে অপরাধ আরও বাড়বে।

২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তর আটলান্টিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটো থেকে সব মিলিয়ে ৩৬ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা পেয়েছে ইউক্রেন। সীমান্তে নিরাপত্তার অভাব আর দুর্বল প্রশাসনের কারণে রাইফেল, গ্রেনেড, মিসাইলের মতো সমরাস্ত্রের চোরাচালন খুব সহজ হবে। চলতি বছরই মার্কিন এক সাংবাদিক দাবি করেছেন, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র কালোবাজারে বিক্রি করে।

পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমও বলছে, সমরাস্ত্র আদান প্রদানে সহায়তা করা সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, কিয়েভে দেয়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে যাচ্ছে। গেলো বছর একই বিষয় নিশ্চিত করেছে ফিনিশ, সুইডিশ, ডেনমার্ক আর নেদারল্যান্ডস কর্তৃপক্ষ। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের দাবি, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ইউক্রেনে সরবরাহ করা সমরাস্ত্র পাওয়া গেছে। একই সময় ইউক্রেনের যে সেনারা ড্রোন, মিসাইল আর সাইবার যুদ্ধে পারদর্শী হয়েছে, তাদের নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তারা ইউরোপে তৈরি করতে পারে ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ক।

ইউক্রেনে দুর্নীতি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ পুনর্গঠনে প্রয়োজন পড়তে পারে ৫২ হাজার কোটি ডলার। কিন্তু দুর্বৃত্তরা অর্থ জালিয়াতি করে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে পারে। অস্ত্র চোরাচালান আর দুর্নীতির অভিযোগের পরও দেশের প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র আর সমর্থন দিচ্ছে পশ্চিমারা। ইউরাশিয়া অবজারভেটরির প্রতিবেদন বলছে, সীমান্তে নিরাপত্তা আর দুর্বল করে দেবে এই পদক্ষেপ। ঝুঁকির মুখে পড়বে পশ্চিমা দেশগুলো।

এসএস