ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় আর কোনোদিনই ফিরবে না রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। শেষবারের মতো কফিনবন্দি নিথর দেহ বের করে আনা হলো খোলা আকাশের নিচে। সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে কফিন রেখে চলছে পোপকে চির বিদায়ের আচার।
দেড় শতাধিক দেশের প্রতিনিধি, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ আড়াই লাখের বেশি শোকার্ত মানুষের উপস্থিতিতে শুরু হয় শেষকৃত্যের আয়োজন। ২২০ কার্ডিনাল, ৭৫০ জন বিশপ এবং চার হাজারের বেশি অন্যান্য ধর্মযাজক প্রিয় পোপের অন্তিম যাত্রার আয়োজন শুরু করেন। সমাধি আয়োজনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৯১ বছর বয়সী ইতালীয় ধর্মযাজক কার্ডিনাল জিওভান্নি বাতিস্তা রে। শেষকৃত্য আনুষ্ঠানিকতা টানা ৯০ মিনিট স্থায়ী হওয়ার কথা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
পোপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে রয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ যুবরাজ উইলিয়াম, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলানি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ বিশ্বের অন্তত ৫০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।
এছাড়াও যুদ্ধের মধ্যে ছুটে এসেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, তবে পোপের চির বিদায় লগ্নে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জাননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
আরো পড়ুন:
আর্জেন্টিনায় জন্ম নেয়া ফ্রান্সিস ৮৮ বছর বয়সে ২১ এপ্রিল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পরপরই দেড়শ' কোটির বেশি অনুসারীর ক্যাথলিক চার্চে শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী বিদায় রীতিনীতি। ২০১৩ সাল থেকে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরুর দায়িত্ব পালন করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ২০ বছরে পর এই প্রথম কোনো ধর্মগুরু দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মারা গেলেন।
পোপেরই ইচ্ছা অনুযায়ী ঐতিহাসিক সান্তা মারিয়া মাজৌরি চার্চে সমাহিত করা হবে তাকে। ফ্রান্সিকে সমাধিস্থ করার পর শুরু হবে নতুন পোপ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা।
