কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্সের চূড়া। শনিবারের এই ধূসর সকাল বলে দিচ্ছে ধর্মগুরু পোপের শেষ বিদায়ের দিন আজ।
এদিন সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন লাখ লাখ ভক্ত ও অনুসারী। শুক্রবার রাত থেকেই ভক্তদের ভিড় সামলাতে নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ক্লান্তি স্পর্শ করতে পারছে পোপের অনুসারীদের।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, শনিবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার কন্সট্যান্টাইন উনিংয়ে জড়ো হন বিশপ ও আর্চ বিশপরা। আর একই সময়ে ক্যাথলিক পুরোহিতরা সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে সমবেত হয়েছেন। আধ ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় অর্থডক্স চার্চের পাদ্রীসহ অন্যান্যরা প্রবেশ করেছেন সেন্ট সেবাস্টিয়ান চ্যাপেলে, যেখানে রাখা আছে পোপের কফিন। এরপর কফিন নিয়ে শুরু হবে পোপের শোকযাত্রা। সবশেষে সেন্ট পিটার্সের সামনে রাখা হবে পোপের কফিন।
১২ বছর ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরুর দায়িত্ব পালন করেছেন পোপ। ২০ বছরে পর এই প্রথম কোনো ধর্মগুরু দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মারা গেলেন। পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছাপিয়ে গেছে অতীতের যেকোনো শবযাত্রার রেকর্ড।
পোপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ যুবরাজ উইলিয়াম, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলানি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিশ্বের অন্তত ৫০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান।
তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় পোপের শেষকৃত্যে যোগ দিচ্ছেন না ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। থাকবেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।