যুদ্ধ , ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

ন্যাটোর সাথে সংঘাতে জড়াতে পারে রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালালে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে ছেড়ে কথা বলবে না মস্কো। শুক্রবার (৩১ মে) ওয়াশিংটন কিয়েভকে সবুজ সংকেত দেয়ার পর এমন হুঁশিয়ারি দিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বলেছেন, পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার এই বিরোধ সর্বাত্মক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।

২৭ মাস ধরে ইউক্রেনে হামলা-দখল অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। গেল সপ্তাহে ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে অন্তত ২৫ বার হামলা চালিয়েছে মস্কো। খারকিভ অঞ্চলে একের পর এক গ্রাম চলে যাচ্ছে রুশ সেনাদের দখলে। পশ্চিমাদের কাছে বার বার অস্ত্র সহায়তা চেয়েও সুবিধা করতে পারছে না কিয়েভ।

এমন বাস্তবতায় খারকিভে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গেল শুক্রবার চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে ন্যাটোর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, 'পশ্চিমা মিত্রদের অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়াকে উপযুক্ত জবাব দেয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমি নিশ্চিত নই আজই রুশ ভূখণ্ডে বিমানের সাহায্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে কিনা। আমরা অনেক ধরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।'

এমন ঘোষণার পর পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। প্রয়োজনে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সাথে সংঘাতে জড়ানোর হুঁশিয়ারি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।

ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখলেও ন্যাটো-রাশিয়া সংঘাত এড়াতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।

তিনি বলেন, 'রাশিয়া-ন্যাটোর মধ্যে যে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা কোনোভাবেই বাড়তে দেয়া উচিত হবে না। ধৈর্য্য ধরে সমস্যাটি থেকে পরিত্রাণের পথ বের করতে হবে। আমরা আর কোনো সংঘাত চাই না। ইউক্রেনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমাদের অবস্থান একই থাকবে।'

এদিকে মস্কোর এই হুমকিতে ন্যাটো একেবারেই বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।

তিনি বলেন, 'ইউক্রনের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিন ন্যাটোকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। বারবার তিনি একই কথা বলেন। এমনটি ইউক্রনের হামলার আগের রাতেও তিনি এমন বক্তব্য দেন। ন্যাটো হুমকির পরোয়া করে না। পুতিনের কথায় আমরা যদি ভয় পেতাম তাহলে শুরু থেকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতাম না।'

এদিকে ইটালির অস্ত্র ব্যবহার করে রুশ ভূখণ্ডে হামলা চালানোর বিষয়ে ইউক্রেনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে নিজেদের অবস্থান নিয়ে সিঙ্গাপুরে একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।