যুদ্ধ , ইউরোপ
বিদেশে এখন
সমরাস্ত্র ও লোকবল সংকটে ইউক্রেনের সেনারা
অস্ত্র, গোলাবারুদ ও লোকবল সংকটের অভিযোগ তুলেছেন দোনেস্কে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনারা। মার্চের শুরু থেকে রাশিয়া ইউক্রনের পূর্বাঞ্চলীয় এই শহরটিতে স্থলাভিজান জোরদার ও নজরদারি বাড়ানোয়, জঙ্গলের ভেতর আত্নগোপন করতে বাধ্য হচ্ছে আর্টিলারি ইউনিটের সেনা সদস্যরা। তারা বলছেন, সমন্বয়হীনতার অভাবে দোনেস্কে নিজেদের অবস্থান হারাতে পারে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের ট্যাংক আর রাশিয়ার ড্রোনের মধ্যে চলছে চোর পুলিশ খেলা। ঘন জঙ্গল থেকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র 'হাউতজার'। জার্মানি থেকে পাঠানো এই অস্ত্র কামান ও মর্টারের মাঝামাঝি এক ধরণের সমরাস্ত্র। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে রুশ ড্রোন লক্ষ্য করে গোলা ছুঁড়ে সঙ্গে সঙ্গে ট্যাংকটি ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে ফেলছেন ইউক্রেনের সেনারা।

শিকারি ঈগলের মতো টহল দিচ্ছে রাশিয়ার এসব ড্রোন। প্রতিপক্ষের নজরদারি থেকে বাঁচতে জঙ্গলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে আশ্রয় নিচ্ছেন ইউক্রেনের আর্টিলারি ইউনিটের সেনারা।

একজন সেনা বলেন, 'গোলা ও প্রয়োজনীয় অস্ত্রের ঘটতি মূল সমস্যা। তারচেয়েও বড় বিপদ শত্রুদের ড্রোন। স্নায়ু যুদ্ধ, নজরদারি এবং স্থলাভিজানের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে। কিন্তু এমনটা না করতে পারলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে।'

বিশেষ করে প্যানজারহবিটস-২০০০ মডেলের স্বয়ংক্রিয় ট্যাংক লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। গেল মাসে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু ঘোষণা করেন, ইউক্রেন সেনাদের যেসব ঘাঁটিতে পশ্চিমা থেকে আনা অস্ত্রের মজুত আছে সেখানে হামলা জোরদার করবে মস্কো।

গেল কয়েকদিনে ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের ১ হাজার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থলাভিযান জোরদার করেছে রাশিয়া। বিশেষ করে দোনেস্কের বড় শহর ও শিল্পাঞ্চলগুলো কিয়েভের দখলমুক্ত করতে বদ্ধপরিকর তারা। ইউক্রেনের সেনারা বলছেন, এসব ড্রোন এখন মস্কোর অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

কিয়েভের সেনাদের কয়েকটি ইউনিট জঙ্গলের বেশ কিছু গোপন জায়গায় প্যানজারহবিটস ট্যাংক লুকিয়ে রাখছে। বড় গাছের আড়ালে কাঠের ফ্রেম বানিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে ট্যাংকের চারপাশ।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় পাঠানো অস্ত্রসস্ত্র হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত স্বস্তি নেই সম্মুখসারির ইউক্রেনীয় সেনাদের। দূরে আঘাত হানতে পারে এমন সমরাস্ত্র হাতে পেলে রাশিয়ার স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ধ্বংস করা সহজ হবে বলে মনে করছেন তারা।

এমএসআরএস