কর্তৃপক্ষের প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, একের পর এক হামলায় ঘটনাস্থলে রাস্তায় রক্ত জমেছে, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তুপের মধ্যে জীবিতদের সন্ধান করছে এবং আহতদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল সামরিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ প্যাকেজে প্রায় ৬১ বিলিয়ন ডলারের বিলম্বিত সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেছেন, তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে যখন প্রথম মিসাইল বিস্ফোরিত হয়, তখন কিভাবে তিনি তার শিশুদের নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন তা তুলে ধরেন।
ওলগা সামোইলেঙ্কো বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশিরা আগে থেকেই সেখানে ছিল। আমরা সবাই মেঝেতে পড়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে লাগলাম, এরপর আরও দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা দৌঁড়ে পার্কিং লটে গেলাম।'
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জন, ৩ শিশুসহ আহতদের সংখ্যা ৬০ জন।
মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকো বলেছেন, এক ডজনেরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, হামলার সময় ডজন যানবাহন এবং চিকিৎসা ও শিক্ষা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।