ইউক্রেনের কাছে আর ক্ষেপণাস্ত্র নেই

0

নিজেদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো রাশিয়ার হামলা থেকে সুরক্ষিত রাখতে আর ক্ষেপণাস্ত্র নেই ইউক্রেনের কাছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই সুযোগে ইউক্রেনের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এদিকে ইসরাইলকে যেভাবে ন্যাটো সমর্থন করছে, ইউক্রেনকেও সেভাবে সমর্থনের জন্য আহ্বান জানান তিনি। তবে ইউক্রেনে ছোড়া ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করবে না যুক্তরাষ্ট্র।

যুদ্ধক্ষেত্রে দুর্বল হচ্ছে ইউক্রেন। পশ্চিমা সামরিক সহায়তায় ভাটা পড়ায় সম্মুখযুদ্ধে পিছিয়ে পড়ছে ইউক্রেনের সেনারা। বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতি। আকাশপথে নিরাপত্তা রক্ষায় আর প্রয়োজনীয় ক্ষেপণাস্ত্র নেই ইউক্রেনের কাছে। যে কারণে গেল সপ্তাহে দেশটির বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টে হামলা চালিয়ে সেটিকে ধ্বংস করেছে রাশিয়া। এমন মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেন, '১৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রাইপিলিয়া থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট এই সুযোগে ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া। উত্তর আটলান্টিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটো যেভাবে ইসরাইলকে সমর্থন করছে, যেখানে ইসরাইল ন্যাটো সদস্যভু্ত দেশ নয়, সেখানে ইউক্রেন এই সমর্থন প্রত্যাশা করে। ন্যাটো নজির তৈরি করতে পারে, যেকোন মহাদেশের যেকোন দেশকে শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়াই করতে সহযোগিতা করে। এক্ষেত্রে ন্যাটো দেশগুলো যুদ্ধে না জড়িয়েও সহযোগিতা করতে পারে।'

তবে হোয়াইট হাউজ বলছে, কিয়েভের হয়ে রাশিয়ার সেনাদের সঙ্গে সরাসরি দ্বন্দ্বে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি যেভাবে ইসরাইলে ইরানের ছোড়া ড্রোন ভূপাতিত করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী, একইভাবে রাশিয়ার ছোড়া ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করবে না যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শুরু থেকেই বলেছেন, ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সম্পৃক্ত হবে না। ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বিল পাশ না হওয়ায় ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা দেয়ার বিলটিও পাশ হয়নি। এই বিল পাশে রিপাবলিকানদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।

তবে কিয়েভ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের শুরুতেই তিনগুণ বেশি ড্রোন সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়েছে। ইউক্রেন ড্রোন ফোর্স বলছে, বর্তমানে ৯৯ শতাংশ ড্রোন ইউক্রেনের অভ্যন্তরে তৈরি। যুদ্ধক্ষেত্রে দুই দেশের ড্রোন ব্যবহারের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। চলতি বছর জিডিপির ৩ শতাংশ ব্যয় হবে দেশটির সামরিক খাতে।

এদিকে সেনাবাহিনীর জন্য নতুন একটি আইন পাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আইন অনুযায়ী নিজেদের খসরা তথ্য হালনাগাদ করতে হবে সেনাদের। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করা সেনাদের অর্থ দিতে হবে। আর তথ্য ফাঁকি দিলে নতুন শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

মূলত সেনা সংকট কমাতে এই আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হলেও সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, এই আইন যথেষ্ট নয়। এর আগে সেনাবাহিনীতে যোগদানের বয়স ২৭ থেকে নামিয়ে ২৫ বছর নির্ধারণ করে আইন পাশ করে জেলেনস্কি সরকার।