পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে প্রতিদিনই। উরাল নদীর পানি বইছে বিপদসীমার সাড়ে ৬ ফিট উপর দিয়ে। পূর্বের শহর ওরেনবার্গের ৮টি এলাকার ৫০ লাখ মানুষকে বাড়ি ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ বাসিন্দাকে।
গতকাল (শুক্রবার, ১২ এপ্রিল) পর্যন্ত শহরটিতে তলিয়ে গেছে প্রায় ১২ হাজার বাড়িঘর। বন্যা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসেবে অভিহিত করেছেন শহরের মেয়র। তবে শহরবাসীর অভিযোগ, বন্যার বিষয়ে আগে সতর্ক করেনি কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় বাড়ছে ভোগান্তি।
স্থানীয় একজন বরেন, 'তারা বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে। প্রয়োজনীয় সবকিছু গাড়িতে নিচ্ছি। আমাদের বাড়িও বন্যায় প্লাবিত হতে পারে।'
শুধু ওরেনবার্গই নয়, পাশ্ববর্তী কুরগানও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার। সামরিক সরঞ্জাম তৈরির জন্য বিখ্যাত অঞ্চলটিতে একরাতের ব্যবধানে পানির স্তর বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ মিটার। ধারণা করা হচ্ছে, ২ সপ্তাহের মধ্যে বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে অন্যান্য এলাকাতেও।
উরাল নদীর গন্তব্যস্থল রাশিয়া থেকে কাজখস্তান হয়ে কাস্পিয়ান সাগরে। তাই বন্যা দেখা গেছে কাজাখস্তানেও। ১০টি রাজ্যে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১ লাখের বেশি বাসিন্দাকে।
এই গ্রামের নাম টেপলিকোন। ডান পাশের অঞ্চলটি প্লাবিত হলেও বামের অঞ্চলটিতে পানি প্রবেশ করতে পারেনি। আমরা এখন এই অঞ্চলটিকে রক্ষায় কাজ করছি।
এর আগে বসন্ত মৌসুমে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে অস্বাভাবিকভাবে বরফ গলে যায়, যা বাড়িয়ে দেয় উরাল নদীর পানির স্তর। গেল সপ্তাহে পানির অতিরিক্ত চাপে ভেঙ্গে যায় উরাল নদীর একটি বাঁধ। এরপর থেকেই বন্যার শিকার রাশিয়া ও কাজাখস্তান।