ইউরোপ
বিদেশে এখন
0

অগ্ন্যুৎপাতে পুড়ছে আইসল্যান্ডের গ্রিনদাভিক শহর

আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে আইসল্যান্ডের গ্রিনদাভিক শহরে পুড়ছে একের পর এক ঘরবাড়ি। শহরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়েছে লাভা। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আশেপাশের সব বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

আইসল্যান্ডের গ্রিনদাভিক শহরটি জেলেপল্লি হিসেবে পরিচিত। রাজধানী রেইক্যাভিক থেকে শহরটির দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। বসবাস প্রায় চার হাজার বাসিন্দার। গত নভেম্বরে আগ্নেয়গিরির ভয়ে তাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এর কিছুদিন পর অল্প সময়ের জন্য তাদের সেখানে ফিরিয়ে আনা হয়। এখন আবার তাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিনদাভিক শহরের কাছাকাছি জায়গায় আগ্নেয়গিরির দুটো ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসছে লাভা। ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে শহরের ভেতরে। পুড়ে যাচ্ছে একের পর এক ঘর ও বাড়ি।

শহরটিতে যাওয়ার সব রাস্তা আপাতত বন্ধ। পাশেই আইসল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ব্লু লেগুনেও নেয়া হয়েছে একই পদক্ষেপ। ব্যবস্থা নেয়ার পরও লাভা আটকানো যাচ্ছে না।

পর্যটকরা বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্লু লেগুনে ঘুরতে এসেছিলাম। এখন সেই পরিকল্পনা বাদ দিয়েছি। আশা করি এখানের বাসিন্দারা সবাই নিরাপদে থাকবে।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) ভোরে শুরু হওয়া অগ্ন্যুৎপাত এখনও চলছে। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে রাতভর শহরটিতে ভূকম্পন অনুভূত হয়। এক মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চোখের সামনে আমার ঘর পুড়ে গেছে। এটি খুবই অপ্রত্যাশিত, এই অগ্ন্যুৎপাত কি পরিমাণ ক্ষতি করবে তার কোনো ধারণা নেই।

জিপিএস পরিমাপে দেখা যায়, শহরের নিচে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে লাভা ছড়িয়ে পড়ছে। কয়েক দিনের মধ্যে আগ্নেয়গিরির নতুন আরেকটি ফাটল দেখা দেয়ার আশঙ্কা আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অগ্ন্যুৎপাত চলতে পারে বহু বছর।

আইসল্যান্ডের অনুসন্ধান ও উদ্ধার দলের সদস্য হ্যাফথর ক্রিস্টোফারসন বলেন, 'এখানে যারা থাকে বা বাস করছিল তারা কবে ফিরতে পারবে এটি আসলে অজানা। অগ্ন্যুৎপাত থামতে কয়েকদিন বা সপ্তাহ অথবা কয়েক বছরও লেগে যেতে পারে। এই মুহূর্তে এলাকাটি আসলেই বিপজ্জনক। এখন জায়গাটিতে কেউ নেই। কিন্তু কতদিন এমন অবস্থা থাকবে তা কেউ জানে না।'

গত দুই বছরের মধ্যে আইসল্যান্ডে এ নিয়ে পাঁচবার অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটল। দেশটিতে এখনও ৩৩টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে, যা ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।

এসএস