বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে এনডিএ জোটের জয়

বিহার আইনসভা
বিহার আইনসভা | ছবি: সংগৃহীত
0

ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ জোট)। ২৪৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ জোট পেয়েছে ২০২টি আসন। বিহারের পর আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ব্যাপক ভরাডুবির পর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি অভিযোগ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর।

গেল ১১ নভেম্বর বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণের পরেই বুথফেরত জরিপ আভাস দিয়েছিল বিহারের মসনদে নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে ২০০৫ সাল থেকে বিহারের শাসন ধরে রাখা এনডিএ জোটের শরীক দল জেডিইউ পার্টি।

২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০২ আসন পেয়েছে দলটি। প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার মহাজোটবন্ধন পেয়েছে ৩৫টি আসন। আর বাকি ৬টি আসনে জয় পেয়েছে বাকি দলগুলো। নির্বাচনে বড় জয় পাওয়ায় বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারসহ বাকি নেতাদের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আমি এনডিএ জোটের পুরো দলকেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। নীতিশজি চমৎকার নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির দিলীপ কুমার জয়সওয়াল, সম্রাট চৌধুরী, বিজয় কুমার সিনহা অনেক পরিশ্রম করেছেন।

আরও পড়ুন:

বিহার নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর, আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ধারা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিহারের জয়, পশ্চিমবাংলাতেও বিজেপির জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে। আমি পশ্চিমবাংলার ভাই-বোনকে আশ্বস্ত করছি, বিজেপি আপনাদের সাথে মিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে জঙ্গলরাজকে উৎখাত করবে।

এদিকে বিহার নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেস সমর্থিত প্রধান বিরোধী দল মহা জোটবন্ধনের। মাত্র ৩৫ টি আসনে জয় পেয়েছে ইন্ডিয়া জোটের দলটি। পরাজয়ের পর আবারও ভোটের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে রাহুল বলেন, নির্বাচনের ফলাফল অবাক করার মতো। নির্বাচন শুরু থেকেই স্বচ্ছ ছিল না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে, বিহারের যেসব ভোটার মহা জোটবন্ধের ওপর আস্থা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে রাহুল বলেন, কংগ্রেস দল এবং ইন্ডিয়া জোট এ ফল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

ইএ